ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমবার ঋতুমতী হয়েছিল ১২ বছরের এক নাবালিকা। তার পোশাকে ঋতুকালীন রক্তের দাগ দেখে সেটাকে সঙ্গমের চিহ্ন মনে করে অকথ্য নির্যাতন করে তাকে খুন করার অভিযোগ উঠল মেয়েটির দাদার বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় অভিযুক্তের স্ত্রীও যথেষ্ট উসকানি দিয়েছে বলেও অভিযোগ। এমনই ভয়ংকর এক ঘটনার সাক্ষী হল মহারাষ্ট্র (Maharahstra)। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে তেমনটাই জানা যাচ্ছে।
ঠিক কী হয়েছিল? রাজ্যের উল্লাসনগরের বাসিন্দা ওই নাবালিকা তার দাদা-বউদির সঙ্গে থাকত। তাদের বাবা-মা থাকতেন অন্যত্র। আচমকাই বোনের পোশাকে রক্তদাগ দেখতে পান অভিযুক্ত। তাঁর সন্দেহ হয়, বোন নিশ্চয়ই কারও সঙ্গে শরীরী সম্পর্কে জড়িয়েছে। তার সঙ্গে লুকিয়ে সঙ্গম করার ফলেই গোপনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এরপরই অকথ্য নির্যাতন শুরু করেন তিনি। লাথি-চড় মারা হতে থাকে ওই নাবালিকাকে। গোটা ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মেয়েটির বউদির বিরুদ্ধেও।
টানা তিনদিন পাশবিক নির্যাতন করা হয় ওই নাবালিকাকে। এরপর সে অচেতন হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান অভিযুক্ত ও তাঁর স্ত্রী। চিকিৎসকরা মেয়েটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, মেয়েটির মুখ, ঘাড় ও পিঠে নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। খুনের (Murder) ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩০ বছর বয়সি অভিযুক্তকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.