তপন বকসি, মুম্বই: জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে যে শিল্পোদ্যোগের কথা বলেছিলেন, সেই প্রতিশ্রুতিকে বাস্তব রূপ দিতে প্রথম এগিয়ে এল মহারাষ্ট্র সরকার। বুধবার মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হল কাশ্মীর আর লাদাখে দুটি ট্যুরিস্ট রিসর্ট তৈরি করবে তারা।
জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে বাইরের উদ্যোগপতিরাও শিল্পে বিনিয়োগ করতে পারবেন, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়িত করতে এগিয়ে এল বাণিজ্যনগরী। বুধবার ‘মহারাষ্ট্র ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন’ বা এমআইডিসির কার্যালয় থেকে সরকারিভাবে জানানো হয়, কাশ্মীর উপত্যকার পহেলগাঁও আর লেহ-লাদাখে একটি করে রিসর্ট তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, প্রতি বছর অমরনাথ ধামে যেতে চাওয়া অসংখ্য তীর্থ যাত্রীরা যাতে যাওয়ার পথে বৈষ্ণদেবী মন্দিরও ঘুরে যেতে পারেন, সেই কথা মাথায় রেখেই জম্মু-কাশ্মীর আর লাদাখে এই দুটি রিসর্ট তৈরির ভাবনা মহারাষ্ট্র সরকারের।
জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের সঙ্গে এই দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে জমি, সম্পত্তি কেনাবেচা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন শিল্পোদ্যোগে দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতোই সুযোগ সুবিধা শুরু করার কথা জানানো হয়েছিল।
মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে এদিন বলা হয়, প্রত্যেক রিসর্টের জন্য এক কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই দুটি রিসর্টের জন্য উপযুক্ত জমি খোঁজার কাজ শেষ করে ফেলা হবে। মহারাষ্ট্র সরকারের পর্যটন মন্ত্রী জয়কুমার রাওয়াল বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরে আমরা এখনও পর্যন্ত উপযুক্ত জায়গা খুঁজছি। একান্ত না পেলে শ্রীনগর বিমানবন্দরের কাছাকাছি কোথাও জমি নেওয়ার ব্যবস্থা করব। আর লেহতে আমরা মাউন্টেনারিং রিসর্ট বানাবো। মারাঠিরা পাহাড়ে চড়তে, ট্রেকিংয়ে বিশেষ উৎসাহী। তাই আমরা মাউন্টেনারিং রিসর্টে জোর দিচ্ছি। আমরা জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপালের কাছে জানতে চেয়েছি ওখানে কোনও সরকারি জমি খালি আছে কিনা।”
এর আগেও জয়কুমার রাওয়াল বলেছিলেন, ‘এমআইডিসি’ জম্মু-কাশ্মীরে ব্যবসার সুযোগ হাতছাড়া করবে না। মহারাষ্ট্র সরকারের নিজস্ব পর্যটন দপ্তর ‘এমআইডিসি’ এই রাজ্যের সব পর্যটন কেন্দ্রগুলি দেখাশোনা করে। মহারাষ্ট্রের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ট্যুরিস্ট সেন্টারগুলিও রক্ষণাবেক্ষণ করে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.