Advertisement
Advertisement
Maharashtra Assembly Election

বেসুরো শিণ্ডে! জট কাটাতে মহারাষ্ট্রে দুই বিশ্বস্ত দূত পাঠাচ্ছেন মোদি-শাহ

মোদি-শাহর বিশ্বস্ত দুই দূতের মূল কাজ মহারাষ্ট্রের বিজেপি বিধায়কদের নেতা নির্বাচন করা।

Maharashtra Assembly Elections: BJP Names Sitharaman, Vijay Rupani As Central Observers
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:December 2, 2024 4:05 pm
  • Updated:December 2, 2024 4:53 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের ফলপ্রকাশের পর ১০ দিন হতে চলল। এখনও সরকার গঠনের দিকে একচুলও এগোতে পারেনি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া মহাজুটি। বিজেপি নাকি শিব সেনা, দেবেন্দ্র ফড়ণবিস নাকি একনাথ শিণ্ডে, মুম্বইয়ের কুরসি কার দখলে থাকবে এই নিয়েই যাবতীয় জল্পনা। সেই জট কাটাতে এবার কেন্দ্রীয় স্তর থেকে দুজনকে পর্যবেক্ষক হিসাবে পাঠানো হচ্ছে। একজন নির্মলা সীতারমণ এবং অপরজন বিজয় রূপাণি।

দিন কয়েক আগে দিল্লিতে অমিত শাহর বাড়িতে যে বৈঠক হয়েছিল, তার পরই যাবতীয় জট কেটে যাবে বলে আশায় ছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল ওই বৈঠকের পরই বেসুরো বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী শিণ্ডে। প্রথমে তিনি চলে গিয়েছিলেন সাতারায় দেশের বাড়িতে। সেখান থেকে মুম্বই ফিরলেও সোমবার কারও সঙ্গে দেখা করেননি। মহাজুটির বৈঠকেও যাননি। শিব সেনার সূত্র বলছে, মুখ্যমন্ত্রী অসুস্থ। তাই তাঁর সব কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। এদিকে শিণ্ডের এই অসুস্থতার খবর পেয়ে তাঁকে ফোন করে বসেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিস। সূত্রের দাবি, শিণ্ডের কাছে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি জানতে চান শীর্ষস্থানীয় ওই বিজেপি নেতা। কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে কিনা, সেটা অবশ্য স্পষ্ট নয়।

Advertisement

এসবের মধ্যেই বিজেপি মহারাষ্ট্রে পরিষদীয় দলের বৈঠকে পর্যবেক্ষক হিসাবে পাঠাল নির্মলা সীতারমণ এবং বিজয় রুপাণিকে। দুজনেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বিশ্বস্ত। নির্মলা দীর্ঘদিন কাজ করছেন অর্থমন্ত্রী হিসাবে। আর রূপাণি কাজ করেছেন মোদি-শাহর নিজের রাজ্য গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে। মোদি-শাহদের বিশ্বস্ত দুই দূতের মূল কাজ হল মহারাষ্ট্রের বিজেপি বিধায়কদের নেতা নির্বাচন করা। বিজেপি থেকে যদি মুখ্যমন্ত্রী হয়, তাহলে বিধায়কদের নেতা যিনি নির্বাচিত হবেন তিনিই মুখ্যমন্ত্রী পদে বসবেন। এই মুহূর্তে লড়াইয়ে ফড়ণবিসই এগিয়ে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে দলের নেতা নির্বাচন ছাড়াও দিল্লির দুই পর্যবেক্ষককে আরও যেটা করতে হবে, সেটা হল একনাথ শিণ্ডেকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে রাজি করা। তবে এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে শিণ্ডেকে বেশ অনড়ই শোনাচ্ছে। সোমবারও মহারাষ্ট্রের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, মানুষ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁকেই চাইছেন। আরও একটা বিষয় একনাথ শিণ্ডের শিবির থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, ফড়ণবিসকে মুখ্যমন্ত্রী করে একনাথের ছেলে শ্রীকান্তকে উপমুখ্যমন্ত্রী করার যে ছক করা হচ্ছিল, সেটাও তাঁদের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। শ্রীকান্ত শিণ্ডে নিজেই বলছেন, এই ধরনের খবরের কোনও সত্যতা নেই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement