প্রতীকী ছবি
হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: মহাকুম্ভের জল নিয়ে কেন্দ্রের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্ট উড়িয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দাবি, স্নান তো বটেই, সঙ্গমের জল পানেরও যোগ্য। এবার মহাকুম্ভের জলদূষণ বিতর্কে তাঁকেই সমর্থন করলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী পদ্মশ্রী ড. অজয়কুমার সোনকার। দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের বন্ধু বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, ল্যাবরেটরিতে তিনি পরীক্ষা করে দেখেছেন কেবল স্নানের উপযুক্তই নয়, এই জল একেবারেই খাঁটি।
ওই বিজ্ঞানীর দাবি, কুম্ভের জল আলকালাইন ওয়াটারের মতোই শুদ্ধ। জলের ph লেভেল ৮.৪-৮.৬. যা বিশুদ্ধতার সূচক। তাঁর দাবি, জলে জীবাণুর পরিমাণ বেশি হলে জলের এসিডিটি বেড়ে যায়। Ph লেভেল কমে যায়। কিন্তু কুম্ভের জলের ক্ষেত্রে কোনওটাই হয়নি। আর নিজের এই দাবির সপক্ষে একেবারে ‘ওপেন চ্যালেঞ্জ’ ছুড়েছেন ড. সোনকার। তাঁর দাবি, কারও মনে যদি এই নিয়ে সামান্যতম সন্দেহও থাকে তাহলে তিনি যেন তাঁর কাছে গঙ্গাজল নিয়ে হাজির হন। তিনি পরীক্ষা করে দেখিয়ে দেবেন জল কতটা বিশুদ্ধ। তিনি জানিয়েছেন, পাঁচটি পৃথক ঘাট থেকে তিনি গঙ্গাজল সংগ্রহ করেছেন। যার মধ্যে সঙ্গম, আরেইলের জলও রয়েছে। আর সেই জল নিয়ে তিনমাস ধরে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, গঙ্গাজল সবচেয়ে সবচেয়ে বিশুদ্ধ। এতে স্নান করলে স্বাস্থ্যের কোনও ঝুঁকি নেই। এমনটাই দাবি খ্যাতনামা বিজ্ঞানীর।
উল্লেখ্য, গত বুধবার গঙ্গার জল নিয়ে উত্তরপ্রদেশ দূষণ পর্ষদের রিপোর্ট তুলে ধরেন যোগী। দাবি করেন, নদীর জলে বায়োলজিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড (বিওডি) লিটার প্রতি ৩ গ্রাম এবং ডিসলভ অক্সিজেন (ডিও) লিটার প্রতি ৫ গ্রাম থেকে ৯ গ্রাম। যা মোটেই বিপজ্জনক নয়। গেরুয়া নেতার বক্তব্য, ১৪৪ বছরের মহাকুম্ভকে বিরোধীরা অপমান করেই চলেছে। জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্টের বিরোধিতা করে যোগীর দাবি, রিপোর্ট ঠিক নয়। সঙ্গমের জল ‘আচমন’ করারও উপযুক্ত। এবার যোগীর সুরেই সুর মেলালেন ওই বিজ্ঞানী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.