সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কে জড়ালেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী গিরিশ মহাজন। একটি রিপোর্টে প্রকাশ, চলতি মাসের ২২ তারিখ নাসিকে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের স্ত্রীর ভাইঝির বিয়েতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে তিনি একা নন, ওই বিয়েতে অতিথিদের মধ্যে ছিলেন এক অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার, ইনস্পেক্টর পর্যায়ের পুলিশরাও। এছাড়াও নাকি ছিলেন বিজেপির বিধায়ক দেবযানী ফারান্ডে, বালাসাহেব সানাপ ও সীমা হীরায়। উপস্থিত ছিলেন নাসিকের মেয়র রঞ্জনা ভানাসি ও ডেপুটি মেয়র প্রথমেশ গীতে। নাসিকের বেশ কয়েকজন পুরপ্রতিনিধিও ছিলেন ওই হাই-প্রোফাইল বিয়েতে।
[একবছরে দ্বিগুণ হকার বেড়েছে শিয়ালদহে, ভোগান্তি নিত্যযাত্রীদের]
বিষয়টি জানাজানি হওয়ায়, বুধবার ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন নাসিকের পুলিশ কমিশনার রবীন্দ্র সিংহল। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। সিংহল জানিয়েছেন, অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বয়ান রেকর্ড করা হচ্ছে। যদিও মন্ত্রী গিরিশ মহাজনের বিরুদ্ধে আদৌ কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না তা স্পষ্ট নয়। এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিসও একটি রিপোর্ট তলব করেছেন।
এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে গিরিশ মহাজন জানিয়েছেন, বিয়েতে তিনি অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তবে তাঁর দাবি, দাউদের সঙ্গে কনে পক্ষের সম্পর্কের কথা তিনি জানতেন না। স্থানীয় এক মুসলিম নেতার ছেলে পাত্র। তাঁদের কাছ থেকে নিমত্রণ পেয়েই বিয়েতে গিয়েছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, বিজেপি নেতা একনাথ খাড়সের পর দাউদের আত্মীয়ের বিয়েতে গিরিশ মহাজনের উপস্থিতিতে বিব্রত দল।
[স্মার্টফোনে চার্জ থাকছে না? এখনই ‘আন-ইনস্টল’ করুন এই ১০ অ্যাপ]
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে করাচির একটি হাসপাতালে আশংকাজনক অবস্থায় ভর্তি ছিল ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড ডন দাউদ ইব্রাহিম এমনটাই জানিয়েছিল একাধিক সংবাদমাধ্যম। আরও জানা গয়েছিল যে ২২ এপ্রিল ব্রেন টিউমারের অস্ত্রোপচার ব্যর্থ হওয়ায় আপাতত ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের মূলচক্রীকে। যদিও এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেনি দাউদের অন্যতম শাগরেদ ছোটা শাকিল। সে দাবি করেছিল পুরো খবরটাই ভুয়ো।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাকিস্তানের করাচির অভিজাত এলাকা ক্লিফটনের একটি বিলাসবহুল বাড়িই দাউদের বর্তমান আস্তানা। সেখান থেকেই নিজের সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করে সে। ৬১ বছর বয়সি দাউদ ইব্রাহিম ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের মূলচক্রী। তাঁকে সঙ্গত দিয়েছিল টাইগার মেমন ও ইয়াকুব মেনন। ওই বিস্ফোরণে ২৫৭ জন মারা গিয়েছিলেন এবং ৭১৭ জন আহত হয়েছিলেন। ওই ঘটনার পরই ভারত ছেড়ে পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছিল দাউদ। গত ২৩ বছর ধরে সেখান থেকেই নিজের সাম্রাজ্য চালাচ্ছেন ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড ডন। যদিও পাকিস্তান বরাবরই দাউদের উপস্থিতি অস্বীকার করে গিয়েছে।
[এবার রোবট পুলিশের দেখা মিলবে এই শহরে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.