হেমন্ত মৈথিল, মহাকুম্ভ নগর: আকাশে উড়ছে সুখোই। সঙ্গমে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে নজর সকলের। কারও গলায় শোনা যাচ্ছে, ‘জয় শ্রী রাম’। আবার কেউ বলছেন, ‘হর হর গঙ্গে’। কেউ বলে চলেছেন, ‘হর হর মহাদেব’। মহাসমাপ্তির দিন মহাকুম্ভে আবেগে ভাসলেন পুণ্যার্থীরা। সুব্যবস্থার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশংসাও করেন অনেকে।
গত ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে মহাকুম্ভের পুণ্যস্নান। এবার ১৪৪ বছরের যোগ মহাকুম্ভে। একে তো মহাকুম্ভের মহাসমাপ্তি। তার উপর আবার বুধবার মহাশিবরাত্রি। তার ফলে পুণ্যার্থীরা এই মাহেন্দ্রক্ষণে সঙ্গমে ডুব দিতে প্রবল উৎসাহী ছিলেন। আসলে মহাকুম্ভের সঙ্গে মহাদেবের এক নিবিঢ় যোগ রয়েছে। সমুদ্রমন্থনে ভগবান শিবের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। আর মন্থনের অমৃতকুম্ভের বিন্দু দেশের চারটি স্থানে ক্ষরিত হয়। এই স্থানগুলি হল হরিদ্বার, নাসিক, প্রয়াগ ও উজ্জয়িনী। সরকারি তথ্য বলছে, মঙ্গলবার রাত দুটোর সময় সঙ্গমে ডুব দেন ১১.৬৬ লক্ষ পুণ্যার্থী। যা পরবর্তী দুই ঘণ্টায় বেড়ে হয় ২৫.৬৪ লক্ষ। সকাল ৬টার মধ্যে তা হয় ৪১.১১ লক্ষ। বুধবার সারাদিনে সবমিলিয়ে কমপক্ষে দেড় কোটি পুণ্য়ার্থী পুণ্যস্নান সারেন।
বিকেলের দিকে নৌসেনার তরফে এয়ার শো-র আয়োজন করা হয়। আকাশে ওড়ে সুখোই। ছিল এন-৩২ ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট, চেতক হেলিকপ্টার। সেই সময় আবেগে বহু পুণ্যার্থী ‘জয় শ্রীরাম’, ‘হর হর গঙ্গে’, ‘হর হর মহাদেব’ ধ্বনি দিতে থাকেন। আবার কেউ কেউ গোটা মুহূর্ত স্মার্টফোন বন্দি করেন। ঐতিহাসিক এই মুহূর্তের ছবি, ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় শেয়ারও করেন অনেকে। ওই ভিডিওগুলি বিদ্যুতের গতিতে ভাইরাল হয়ে যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.