সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও একবার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে শিক্ষায় গৈরিকিকরণের অভিযোগ তুলল বিরোধীরা । এবার কাঠগড়ায় মহারাষ্ট্রের বিজেপি-শিব সেনা জোট সরকার। বিতর্কের সূত্রপাত কলেজে কলেজে ভগবত গীতা বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়ে। বিরোধীদের চাপে বাধ্য হয়ে আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে গীতা বিতরণ।
গতবছর মে মাসে মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল গোটা রাজ্যের স্কুল-কলেজগুলিতে বাধ্যতামূলক করা হবে গীতা পাঠ। ইতিমধ্যেই বৃহন্মুম্বই পুরসভার অন্তর্গত স্কুলগুলিতে গীতা পাঠ বাধ্যতামূলক করতে প্রাথমিক পদক্ষেপ শুরু করে দিয়েছে পুরসভা। পুরসভার দাবি, গীতা পাঠের ফলে ছাত্রছাত্রীদের নৈতিকতা এবং আধ্যাত্মিক জ্ঞান বাড়বে, যা আগামী দিনে তাদের সাফল্যের চাবিকাঠি হয়ে উঠতে পারে। শুধু বিএমসির অন্তর্ভুক্ত স্কুলে নয় গোটা রাজ্যেই ধীরে ধীরে গীতা পাঠ বাধ্যতামূলক করার দিকে এগোচ্ছিল মহারাষ্ট্র সরকার। ইতিমধ্যেই একটি ধর্মীয় সংস্থা এ সি ভক্তিবেদান্তের উদ্যোগে ১০০টি কলেজে গীতা বিতরণ করে ফেলেছে ফড়নবীশ সরকার।
কিন্তু এরই মধ্যে বাদ সাধল বিরোধীরা। শিক্ষাক্ষেত্রে ধর্মগ্রন্থ পড়ানোর তীব্র বিরোধী শরদ পাওয়ারের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি এবং সমাজবাদী পার্টি। এনসিপির অভিযোগ, আসলে গীতাশিক্ষার আড়ালে হিন্দুত্বের প্রচার করতে চাইছে বিজেপি-শিব সেনা সরকার। এনসিপি মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাঁরা গীতার বিরোধী নন, কিন্তু শিক্ষাক্ষেত্রে ধর্মীয় অনুপ্রবেশের বিরোধী। অন্যদিকে, সমাজবাদী পার্টির নেতা আবু আজমি দাবি করেন, যদি কলেজে গীতা পড়ানো বাধ্যতামূলক হয় তাহলে কোরান পাঠও বাধ্যতামূলক করা হোক। এমনকি শিবসেনার সঙ্গে যুক্ত একটি ছাত্র সংগঠনও সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন।
বিরোধীদের চাপের মুখে অবশ্য নতিস্বীকার করেছে সরকার। সূত্রের খবর, আপাতত গীতা বিতরণের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, গীতা বিতরণ সরকার করেনি। ভক্তিবেদান্ত নামের ওই সংস্থাটি গীতা বিতরণের জন্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সরকারের তরফে শুধু ১০০টি কলেজ বেছে দেওয়া হয়েছিল। ভক্তিবেদান্তের মতো কোনও সংস্থা যদি বাইবেল বা গীতা বিতরণ করতে চায় তাতেও আপত্তি নেই রাজ্যের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.