Advertisement
Advertisement

Breaking News

Madras High Court

বাড়ছে ভুয়ো চিকিৎসকের সংখ্যা, সতর্কবার্তা মাদ্রাজ হাই কোর্টের

ভুয়ো চিকিৎসকরা সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করছেন বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি।

Madras High Court gave warning about fake doctor
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:August 17, 2024 12:18 pm
  • Updated:August 17, 2024 1:36 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভুয়ো চিকিৎসকরা সমাজের জন্য বিপদ। এবার এমনই মন্তব্য করেছে মাদ্রাজ হাই কোর্ট। একই সঙ্গে চিকিৎসা ব্যবস্থার কোনও ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা করে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা করা গুরুতর বিষয় বলেও মন্তব্য করেছেন মাদ্রাজ হাই কোর্টের বিচারপতি মুরলী শঙ্কর। ওই সব চিকিৎসক সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করছেন বলে সতর্ক করেন তিনি।

জানা গিয়েছে, অমৃতলাল নামে এক ব্যক্তি তামিলনাডু সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। ওই ব্যক্তির একটি নার্সিংহোম ও ওষুধের দোকান রয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর কাছে জরিমানা আদায় করা হয়েছিল। জরিমানা আদায় ঠিক ছিল না। এবং তিনি দাবি জানানোর পরও জরিমানার টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, করোনা সংক্রমণ রুখতে হাসপাতালগুলোকে একাধিক নিয়ম মানতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নির্বাচন ঘোষণায় উৎসব উপত্যকায়, বিজেপিকে রুখতে কাশ্মীরে হাত মেলাবেন মেহবুবা-আবদুল্লারা?]

কিন্তু সরকারি আধিকারিকরা অমৃতলালের নার্সিংহোমে পরিদর্শনের সময় দেখেন, সেই সব নিয়ম মানা হয়নি। তাই জরিমানা করা হয়। পরিদর্শনের সময় তোলা ছবিও আদালতে জমা দেওয়া হয় রাজ্যের তরফে। অমৃতলালের আইনজীবী জি থালাইমুথারাসু দাবি করেন, এই পুরো পরিদর্শন ছিল লোকদেখানো। তাঁর মক্কেলের কাছে এক লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন স্বাস্থ্য পরিদর্শক। সেই টাকা না দেওয়াতেই তাঁর মক্কেলের নার্সিংহোম পরিদর্শন করে জরিমানা করেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।

আদালত জানায়, সরকারি নির্দেশ পালন করেছেন এমন কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেননি অমৃতলাল। একই সঙ্গে এক লক্ষ টাকা চাওয়ার বিষয়টিও মস্তিষ্কপ্রসূত। তাই আদালত সরকারকে জরিমানার টাকা ফেরতের নির্দেশ দেবে না। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, ভুয়ো চিকিৎসকরা সমাজের জন্য বড় বিপদ। আবার অনেকে ডিপ্লোমা শংসাপত্রকে কাজে লাগিয়ে নিজেকে চিকিৎসক হিসাবে দেখিয়ে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা করছেন। সাধারণ মানুষ তাঁদের প্রকৃত চিকিৎসক ভাবেন। এটা গুরুতর বিষয়। শক্ত হাতে এর মোকাবিলা করা দরকার। পুলিশকে ভর্ৎসনা করে হাই কোর্ট বলে, ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে পুলিশ। শুধুমাত্র জরিমানা আদায় করে তারা সন্তুষ্ট থাকে। অমৃতলালের যথাযথ ডিগ্রি না থাকার কথা জেনেও কেন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়নি, তা-ও জানতে চায় আদালত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement