সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মন্দিরে পুরোহিত নিয়োগে জাতের আর কোনও ভূমিকা থাকবে না। হবে না কোনও জাতি ভেদাভেদ। অর্থাৎ একমাত্র উচ্চবর্ণের ব্রাহ্মণদের এতদিন মন্দিরের পুরোহিত হিসাবে যে নিয়োগ করা হত, তা আর হবে না। সোমবার এমনই যুগান্তকারী রায় দিল মাদ্রাজ হাই কোর্ট।
বিচারপতি এন আনন্দ ভেঙ্কটেশ বলেন, “স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবার থেকে আর পুরোহিত নিয়োগে জাত দেখা হবে না। আগমা শাস্ত্রে পুরোহিত হওয়ার গুণ ও যোগ্যতা হিসাবে যেগুলি দেখা হয়, সেগুলি থাকলেই যে কোনও জাতের ব্যক্তিকে পুরোহিত হিসাবে বেছে নেওয়া যাবে।” অর্থাৎ আগমা শাস্ত্র অনুযায়ী, মন্দিরে পুজোর সমস্ত রীতিনীতি জানতে হবে। পুরোহিতকে মিষ্টভাষী-জ্ঞানী হতে হবে।
২০১৮ সালে সালেমের সুগাভানেশ্বরর মন্দিরে বংশ পরম্পরায় পুরোহিত পদে নিয়োগ পদ্ধতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে পিটিশন দাখিল করেছিলেন মুথু সুব্রহ্মণিয়া গুরুক্কাল নামে ব্যক্তি। সেই মামলারই রায় দান হল এদিন।
ঐতিহ্যবাহী মন্দিরগুলিতে পুরোহিত নিয়োগের জন্য মন্দির ট্রাস্টির সদস্যদের ভূমিকা থাকবে বলে জানিয়েছে কোর্ট। শীঘ্রই সুগাভানেশ্বর মন্দিরে পুরোহিত নিয়োগের প্রক্রিয়া চালু করার জন্য ট্রাস্টিকে নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি মামলাকারী ব্যক্তিকেও পুরোহিত বাছাইয়ে অংশ নিতে দেওয়া হোক বলে জানিয়েছে কোর্ট। প্রাচীন মন্দিরের জন্য বিখ্যাত তামিলনাড়ু, কেরল। দাক্ষিণাত্যে বেশিরভাগ আগামা মন্দিরেই বংশ পরম্পরায় ব্রাহ্মণরাই পুজো করেন। দেশের বাকি অংশেও বেশিরভাগ জায়গাতেই এই রীতিই প্রচলিত। বৈদিক যুগ থেকে চলে আসা এই রীতি বদলে জাতি বিদ্বেষকে দূরে ঠেলে মাদ্রাজ হাই কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে সমাজের একাংশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.