সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) খরগাঁওয়ে অশান্তির আবহে বৃহস্পতিবার মাত্র ২ ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করল জেলা প্রশাসন। তাও শুধু মহিলাদের জন্য। বাড়ির বাইরে পা রাখার অনুমতি দেওয়া হয় কেবলমাত্র তাঁদেরই যাতে সংসার চালানোর প্রয়োজনীয় সামগ্রী, খাবার-দাবার কিনে ঘরে মজুত রাখতে পারেন। একটানা চারদিন কারফিউ বহাল থাকার পর সামান্য সময়ের জন্য ছাড় মিলল। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত। এই সময়টুকুর মধ্যে দোকান, বাজারে মহিলাদের প্রবল ব্যস্ততা চোখে পড়ে। সকলেই প্রয়োজনমতো দুধ, শাকসব্জি, ওষুধপত্র কিনে বাড়িমুখো হন।
রামনবমী উদযাপনকে কেন্দ্র করে অশান্তির (Communal Unrest) আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল শহরে। গত রবিবার লুঠপাট, হাঙ্গামা, ইট-পাথর ছোঁড়াছুড়ি হয়। পরিস্থিতি সামলাতে অনির্দিষ্টকালীন কারফিউ জারি করে প্রশাসন। এপর্যন্ত ১২১ জনকে হিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। শহরের কালেক্টর অনুরাগ পি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সকাল ১০টা থেকে ২ ঘণ্টার জন্য মহিলারাই প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার জন্য দোকান, বাজারে যেতে পারবেন। রবিবার গন্ডগোলের পর রাজ্যের সব জেলাতেই সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে।
শিবরাজ সিং চৌহান প্রশাসন খরগাঁওয়ে সাম্প্রদায়িক হিংসায় সম্পত্তি ক্ষয়ক্ষতির জন্য জড়িতদের কাছ থেকেই ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য ২ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল গড়েছে। এ ব্যাপারে গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারকের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে। তাতেই নাম থাকবে, কাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে।
একটি সূত্রের দাবি, শুধু খরগাঁও টাউন নয়, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাজ্যের আরও নানা জায়গায়। বুধবার রাতে মন্ডলেশ্বরে ধরগাঁও গ্রামে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তির বাড়িতে হামলা করে স্থানীয় বাসিন্দাদের একটি মারমুখী দল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়েছে। খরগাঁওয়ের অশান্তির পিছনে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার মতো মৌলবাদী গোষ্ঠীর বাইরে থেকে আসা সদস্যরা জড়িত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হিংসা ছড়িয়ে পড়ার আগে সেখানে বহিরাগতদের আনাগোনার খবর পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি সূত্রের। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।