Advertisement
Advertisement

Breaking News

Madhya Pradesh

‘আমি নাড্ডা বলছি’, সভাপতির নাম নিয়ে মধ্যপ্রদেশে বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে প্রতারণা!

ভোপালে প্রাক্তন এক বিধায়কের বাড়িতে ডাকাতি!

Madhya Pradesh: Money demanded from BJP MLA in the name of JP Nadda
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:August 8, 2024 2:12 pm
  • Updated:August 8, 2024 3:57 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নাম করে একের পর এক প্রতারণা মধ্যপ্রদেশে। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এবার ভোপালে সাংসদ-বিধায়কদের জন্য তৈরি অপ্যার্টমেন্টে দিন দুপুরে ডাকাতির ঘটনার রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়াল। এক প্রাক্তন বিধায়কের ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা লুঠ করেছে ডাকাতরা। অপরাধীদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

কিছুদিন আগে মধ্যপ্রদেশের বেতুল জেলায় বিজেপি বিধায়ক যোগেশ পান্ডাগ্রের কাছে এক অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তি বলেন, তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার দপ্তর থেকে বলছেন। নাড্ডার একটি জনসভার জন্য পান্ডাগ্রের কাছে ইউপিআইয়ের মাধ্যমে ১.২৫ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। এবং এই টাকা পাঠানোর জন্য একটি কিউআর কোডও পাঠানো হয়। বিধায়ক প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্তে নেমে উত্তরপ্রদেশ থেকে নীরজ সিং নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: চোখ ছলছল, কান্না চেপে রাজ্যসভা ছাড়লেন বিরোধীদের আচরণে ‘অপমানিত’ ধনকড়]

সেই ঘটনার মাঝেই বুধবার সকালে মধ্যপ্রদেশে সাংসদ বিধায়কদের জন্য তৈরি অ্যাপার্টমেন্টে এক প্রাক্তন বিধায়কের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটল। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ভোপালের ওই সরকারি আবাসে ২ অপরিচিত ব্যক্তি হাজির হয়। এর পর প্রাক্তন ওই প্রাক্তন বিধায়কের ঘরে ঢুকে বাড়ির মালিক ও তাঁর কর্মীকে বেঁধে ফেলে। এর পর শুরু হয় লুটপাট। যদিও তদন্তের খাতিরে বাড়ির মালিকের নাম প্রকাশ্যে আনেনি পুলিশ। যদিও সংবাদসূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই বাড়ির মালিক প্রাক্তন বিধায়ক।

[আরও পড়ুন: জম্মু সামলাবে দেশের প্রাচীন আধাসামরিক বাহিনী! জঙ্গি দমনে নয়া কৌশল কেন্দ্রের]

ভোপাল পুলিশের ডিসিপি শ্রদ্ধা তিওয়ারি বলেন, বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ ২ ব্যক্তি বাড়ির কলিং বেল বাজান এবং জোর করে ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়েন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাড়ির মালিক ও কর্মীকে বেঁধে লুটপাট চালানো হয়। প্রায় ১২ লক্ষ টাকা লুঠ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে অভিযুক্তের সন্ধান শুরু হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর অ্যাপার্টমেন্টের অধ্যক্ষ অজিত সিং বলেন, এই অ্যাপার্টমেন্ট মূলত সাংসদ ও বিধায়কদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। তবে কিছু ফ্ল্যাট বিক্রি না হওয়ায় সাধারণ মানুষকেও তা বিক্রি করা হয়। তবে ভিভিআইপি এই অ্যাপার্টমেন্টে যে বিন্দুমাত্র নিরাপত্তা নেই তা এই ঘটনাতেই স্পষ্ট।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement