সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খেলতে খেলতে অসতর্কতায় কুয়োয় পড়ে যায় শিশু। তারপর চারদিন ধরে শিশুকে কুয়ো থেকে তোলার রুদ্ধশ্বাস চেষ্টা। তবে চেষ্টায় বিশেষ লাভ হল না। শেষমেশ প্রাণ গেল শিশুর। সন্তানহারা হলেন তার বাবা ও মা। উদ্ধারকারী দলের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সন্তানহারারা। মধ্যপ্রগেশের বেতুলের ঘটনায় নেমেছে শোকের ছায়া।
শিশুর পরিবার সূত্রে খবর, গত ৬ ডিসেম্বর বছর আটেকের তন্ময় সাহু বাড়ির কাছে খেলা করছিল। সেখানেই ছিল প্রায় ৫৫ ফুট গভীর কুয়ো। খেলার সময় অসতর্কতায় ওই কুয়োয় পড়ে যায় সে। ওই শিশুর দিদি দেখতে পায়। কাঁদতে কাঁদতে বাবা-মায়ের কাছে যায় সে। অভিভাবকদের জানায় ভাইকে চোখের সামনে কুয়োয় পড়ে যেতে দেখেছে। মেয়ের কথা শোনার সময় এক মুহূর্ত সময়ও নষ্ট করেননি তাঁরা। দৌড়ে কুয়োর পাশে যান দু’জনে। কুয়োর ভিতর উঁকি দিয়ে দেখেন ছেলে ছটফট করছে। কান্নাকাটির কথাও শুনতে পান তাঁরা।
চিৎকার চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে যান। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়। উদ্ধারকারী দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। টানা চারদিন ধরে বহু চেষ্টা করেন উদ্ধারকারীরা। তবে শেষরক্ষা হয়নি। শনিবার মৃত্যু হয় শিশুটির। দুঃসংবাদ শোনার পরই এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।
নিহত শিশুর মা এখনও কঠিন বাস্তবকে মানতে পারছেন না। ভেজা চোখে শুধু ছেলেকেই খুঁজে চলেছেন তিনি। তাঁর দাবি উদ্ধারকারী দলের উদাসীনতায় এমন দুর্ঘটনা ঘটল। তন্ময়ের মতো মেধাবী ছাত্রের মৃত্যুসংবাদ শোনার পর থেকে মন ভাল নেই তার শিক্ষকেরও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.