সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ পুরোপুরি নাকচ করে দিলেন সেবি চেয়ারম্যান মাধবী পুরি বুচ এবং তাঁর স্বামী ধাবাল বুচ। তাঁদের দাবি, যে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তার সবটাই ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
উল্লেখ্য, মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে এর আগে মাধবী পুরি বুচ এবং তাঁর স্বামী ধাবাল বুচকে স্বার্থের সংঘাতের জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল। সেখানে দাবি করা হয় বিদেশি সংস্থায় তাঁর অংশীদারিত্ব রয়েছে। এবং সেবি সদস্য হওয়ার পর, এমনকী সেবির চেয়ারপার্সন হওয়ার পরও আম্বানি গ্রুপের কোম্পানিগুলির সঙ্গে তাঁর লেনদেন চলেছিল বলেই উল্লেখ করা হয়েছে।
সেই রিপোর্ট তুলে ধরে কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, সেবির চেয়ারপার্সন থাকাকালীনও আদানিদের শেল কোম্পানিতে অংশীদারিত্ব ছিল মাধবীর। তাঁর স্বামীরও অংশিদারিত্ব ছিল আদানিদের শেল কোম্পানিতে। এখানেই শেষ নয়, ১৭ থেকে ২১ সাল পর্যন্ত সেবির স্থায়ী সদস্য হওয়া সত্বেও আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক থেকে চার বছরে ১৬ কোটির টাকার বেশি বেতন গ্রহণ করেছেন মাধবী পুরি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁকে নিয়োগের সময় পুরো বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত ছিলেন বলেও অভিযোগ কংগ্রেসের।
এক বিবৃতিতে মাধবী এবং ধাবল দুজনেই এই অভিযোগ খারিজ করেছেন। বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, “কোনও সরকারি আধিকারিকের স্বামী বা স্ত্রী কোনও সংস্থার পরামর্শদাতা হিসাবে নিযুক্ত হলেই ধরে নেওয়া হয়, যোগ্যতার ভিত্তিতে নয়, বেআইনিভাবে সরকারি সুবিধা পেতে তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। এটা সব সময় সত্যি নয়। আগোরা অ্যাডভাইজারির ভারত এবং সিঙ্গাপুর শাখায় ধাবাল বুচের যুক্ত থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, সেটার ক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল।” ধাবাল যে যে সংস্থার সঙ্গে যুক্ত, সব সংস্থাই একই রকমভাবে বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছে, ধাবাল বুচকে নিয়োগ করা হয়েছে সম্পূর্ণ তাঁর যোগ্যতা এবং মেধার ভিত্তিতে। তাঁর সঙ্গে মাধবীর সেবি প্রধান হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.