Advertisement
Advertisement

অন্তর্কলহে রদবদল, সিবিআইয়ের রাশ ধরলেন নাগেশ্বর রাও

ছুটিতে পাঠান হল বিবাদমান দুই শীর্ষকর্তাকে৷

M Nageshwar Rao appointed interim CBI director
Published by: Tanujit Das
  • Posted:October 24, 2018 9:24 am
  • Updated:October 24, 2018 12:36 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের সবচেয়ে বড় তদন্তকারী সংস্থার গৃহযুদ্ধে নয়া মোড়৷ নিজেদের মধ্যে বিবাদে জড়িয়ে পড়ায় ছেঁটে ফেলা হল সিবিআই-এর দুই শীর্ষকর্তা, ডিরেক্টর অলোক ভার্মা ও স্পেশ্যাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্তানাকে৷ ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা হলেন জয়েন্ট ডিরেক্টর এম নাগেশ্বর রাও৷ যত শীঘ্র সম্ভব সংস্থার দায়িত্বভার বুঝে নিতে বলা হয়েছে তাঁকে৷ পাশাপাশি, ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে অলোক ভার্মা ও রাকেশ আস্তানাকে৷ সিবিআই দপ্তরের ১১ ও ১২ তলায়, তাঁদের অফিসেও তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ সেখানে ঢুকতে ও বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না কাউকে৷ সেখানে তল্লাশি চালাচ্ছে সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন৷ সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশেই এই সমস্ত সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে৷

Advertisement

[শুধু ছেলেরাই নয়, এবার বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিচ্ছে ডেলিভারি গার্ল]

সূত্রের খবর, সরানো হয়েছে সিবিআই-এর অন্য দুই জয়েন্ট ডিরেক্টরকে৷ এই সিদ্ধান্তের পর ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের মোদি সরকারকে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস৷ দলের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা জানান, সিবিআই-এর মতো স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থার কফিনে শেষ পেরেকটা পুঁতে দিলো কেন্দ্রের মোদি সরকার৷ গুজরাট মডেলকে গুরুত্ব দিয়েই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত বলে তোপ দাগেন শীর্ষ এই কংগ্রেস নেতা৷ বিতর্ক উসকে তাঁর কটাক্ষ, ‘রাফালে দুর্নীতির তদন্ত করতে চাওয়াই কী বিপদ ডেকে আনল সিবিআই ডিরেক্টরের কপালে?’ এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হচ্ছেন সিবিআই-এর ডিরেক্টর অলোক ভার্মা৷ 

গত কয়েকদিন ধরেই ডামাডোল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সিবিআই-এর মধ্যে৷ অন্তর্কলহে জড়িয়ে পড়েছেন সংস্থার দুই শীর্ষকর্তা৷ স্পেশ্যাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্তানার বিরুদ্ধে তেলেঙ্গানার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেন ডিরেক্টর অলোক ভার্মা৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ডিরেক্টর অলোক ভার্মার বিরুদ্ধে আবার পালটা অভিযোগ আনেন আস্তানা। তাঁর বিরুদ্ধেও ওঠে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ পালটা অভিযোগের এই ঝামেলার জেরে প্রশ্ন ওঠে সিবিআইয়ের ভাবমূর্তি নিয়ে। ঠাণ্ডা লড়াই শুরু হয় দুই শীর্ষকর্তার মধ্যে৷ সিবিআইয়ের শীর্ষ দুই আধিকারিককে ডেকে পাঠান খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

[ছত্তিশগড়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী হচ্ছেন বাজপেয়ীর ভাইঝি]

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরই আস্তানাকে সাসপেন্ড করতে উদ্যত হন অলোক ভার্মা। গ্রেপ্তার করা হয় আস্তানা ঘনিষ্ঠ অফিসার দেবেন্দ্র কুমারকে। তাঁকে দশদিনের হেফাজতে চায় সিবিআই। মোদি ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আস্তানার বিরুদ্ধে এফাআইআর দায়ের করেন অলোক ভার্মা শিবির। তল্লাশি চালানো হয় সিবিআইয়েরই সদর দপ্তরে। মঙ্গলবার পালটা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে আস্তানা শিবির। সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন সিবিআইয়ের স্পেশ্যাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্তানা। মঙ্গলবার দিল্লি হাই কোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে যাতে কোনও কঠোর পদক্ষেপ না করা হয় সেজন্যও আবেদন জানিয়েছেন। সেই আবেদনে সাড়াও মিলেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ২৯ অক্টোবরের আগে কোনওরকম আইনি পদক্ষেপ করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement