ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাপের বাড়ি থেকে পণ বাবদ ৩ লক্ষ টাকা আনার নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বামী। সেই টাকা না আনায় ইদের আগে স্ত্রীকে তিন তালাক দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখনউতে। তালাক দেওয়ার অভিযোগে স্বামী গুরফান আনসারি ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা।
শাহিন নামে নির্যাতিতা ওই মহিলার দাবি, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গুরফানের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে শাহিনের উপর অত্যাচার শুরু করেন গুরফান ও তাঁর বাড়ির লোকজন। নির্যাতিতার দাবি, ৩ লক্ষ টাকা পণ ও একটি বাইকের দাবি জানিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। তা না পেয়ে অত্যাচার মাত্রাছাড়া আকার নেয়। শাহিন গর্ভবতী হওয়ার পর পণের দাবিতে তাঁর স্বামী মারধর করে বাড়ি থেকে বেরও করে দেয়। এর পর থেকে বাপের বাড়িতেই ছিলেন শাহিন।
গত ২৭ ডিসেম্বর শাহিনের বাপের বাড়িতে গিয়েও অকথ্য গালিগালাজ করতে শুরু করে গুফরান ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, প্রতিবাদ করলে শাহিনের পেটে লাথি মারেন গুরফান। জানিয়ে দেন, ইদের আগে যেন পণের টাকা নিয়ে আসা হয়। তবে তার আগেই স্ত্রীকে তিন তালাক দেন অভিযুক্ত। এই ঘটনায় স্বামী গুফরান আনসারি, শ্বশুর আসলাম আনসারি, শাশুড়ি নাসরিন আনসারি ও পরিবারের বাকি সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শাহিন।
অভিযোগ পেয়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা পুলিশের অপরাধ দমন শাখার আধিকারিক বিশ্বজিৎ শ্রীবাস্তব বলেন, মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তিন তালাক বিরোধী আইনে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে অভযোগ দায়ের হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.