সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাষা নিয়ে লড়াই বরাবরের। হিন্দি ভাষা নিয়ে সদ্যই একপ্রস্থ আন্দোলন হয়েছে। কিন্তু এসবের মাঝে অন্য ছবি দেখা গেল উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের এক সবজি বাজারে। ভাষায় প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং ভাষা চর্চার খাতিরে এক অভিনব পন্থা বেছে নিয়েছেন লখনউয়ের এক সবজি বাজারের ব্যবসায়ীরা।
লখনউয়ের নিশাতগঞ্জ সবজি বাজারে গেলে সবজির পাশে দেখতে পাবেন ছোট ছোট প্ল্যাকার্ড। সেখানে লেখা আলুক্কম, রক্তফলম, গুঞ্জানাক্কম, পলাণ্ডু বা এ জাতীয় নানা শব্দ। প্রথম দর্শনে অবাক হলেও মুহূর্তেই বুঝতে পারবেন রহস্য। আদতে সব সবজির পাশে উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলোর সংস্কৃত নাম। কিন্তু হঠাৎ কেন এমন অদ্ভুত কাণ্ড? ওই বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, “সংস্কৃত ভাষার চর্চা বাড়ানোর জন্যই এই উদ্যোগ।”
তাঁরা জানান, এই পদ্ধতি মোটেও সহজ ছিল না। যে কোনওরকম ভুল-ত্রুটি এড়াতে স্থানীয় বেশ কয়েকজন সংস্কৃত শিক্ষকের সহায়তায় এই পদক্ষেপ কার্যকর করা সম্ভব হয়েছে। ব্যবসায়ীদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে ক্রেতারাও। নিত্য প্রয়োজনীয় সবজির সংস্কৃত নাম জানতে পেরে খুশি স্থানীয়রা। বাজারে গিয়ে সংস্কৃত ভাষায় সবজির দরদামই যেন তাঁদের অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে।
তবে সংস্কৃত চর্চার এই পদ্ধতিকে কটাক্ষও করেছেন অনেকেই। ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, কেবল বিক্রি বাড়াতেই এই পদ্ধতি। কেউ আবার বলছেন, এভাবে সংস্কৃত ভাষার অপমান করা হচ্ছে। তাঁদের কথায়, যারা সংস্কৃত পড়তেও পারেন না, তাঁদের অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে সংস্কৃত। এটা সংস্কৃতকে নিয়ে উপহাস ছাড়া আর কিছু নয়। পক্ষে বা বিপক্ষে যাই বলা হোক না কেন, দিনের মধ্যে একটা সময় এভাবে সংস্কৃত চর্চাকে ইতিবাচকভাবেই নিচ্ছেন অধিকাংশ মানুষ। বিশেষত যেখানে সংস্কৃতকে ভুলে হিন্দি ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার তোড়জোড় করছে কেন্দ্র, সেখানে সংস্কৃতের এটুকু চর্চাই বা কম কী?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.