ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশে। ইতিমধ্যে সেখানে সিএএ(CAA) বিরোধী বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই বিক্ষোভ চলার সময়ই দাঙ্গাবাজদের সম্পত্তি দখল করে নিলামে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেই অনুযায়ী কাজও শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন। এবার কানপুর, গোরক্ষপুর ও মউ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পোস্টার লাগাতে শুরু করেছে তারা। যাতে রয়েছে বহু মানুষের মুখ।
পুলিশের দাবি, ওই ব্যক্তিরা হিংসাত্মক বিক্ষোভে সামিল হয়েছিল। তাই তাদের সম্পর্কে খবর দিতে পারলে পুরস্কৃত করা হবে। এর পাশাপাশি শনাক্ত হওয়া লোকদের বাড়িতে নোটিসও পাঠাতে শুরু করেছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এরই মাঝে জানা গেল, দাদুকে কবর দিয়ে ফেরার সময় আটক হওয়া এক যুবককেও দাঙ্গাবাজের তকমা দিয়ে বাড়িতে নোটিস পাঠানো হয়েছে। ২০ বছরের ওই যুবকের নাম সামাদ আনোয়ার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরনো লখনউয়ের খাদরা এলাকায় পরিবারকে নিয়ে বসবাস করেন সামাদ আনোয়ার। তাঁর বাবা মুজিব আনোয়ার একজন সরকারি কর্মচারী ও সামাদ ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টের গাড়িচালক। গত ১৯ ডিসেম্বর সামাদের দাদুর মৃত্যু হয়। তাই পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে দাদুকে সমাধিস্থ করতে স্থানীয় একটি কবরখানা গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথেই বিপত্তি বাঁধে। রাস্তায় সিএএ’র বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হচ্ছিল পুলিশের। ভুলবশত তার মধ্যে ঢুকে পড়ে রাস্তার ওপর পরে যান সামাদ। সেসময় তাঁকে বিক্ষোভকারী মনে করে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে হাঁপানি রোগে ভোগা সামাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
কিন্তু, এখন দেখা যাচ্ছে চারিদিকে লাগানো পোস্টারে ছবি রয়েছে সামাদেরও। যার সন্ধান দিতে পারলে পুরস্কৃত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। পাশাপাশি সামাদের বাড়িতে নোটিসও পাঠিয়েছে পুলিশ। তাতে জানতে চাওয়া হয়েছে, হিংস্র জনতার অংশ হিসেবে ভাঙচুর চালানোর জন্য প্রশাসন কেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না। তার কারণ ব্যাখ্যা করুন। এই নোটিস পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে সামাদের পরিবারও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.