সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেনায় যোগ দেওয়ার পর প্রথম ছুটি নিয়েছিলেন লেফটেন্যান্ট উমর ফয়াজ৷ মামার মেয়ের বিয়ে ছিল৷ গিয়েছিলেন বিয়ের যোগ দিতে৷ সেখান থেকে ফেরার পথেই তাঁকে অপহরণ করেছিল জঙ্গিরা৷ চক্রব্যূহ রচনা করে ১০ জনে মিলে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল তরুণ সেনা আধিকারিক ফয়াজকে৷ প্রাথমিক তদন্তের পর এমনটাই জানতে পেরেছে সেনা৷ জানা গিয়েছে হিজবুল ও লস্করের জঙ্গিরাই এই কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়েছে৷
[সনিকা-কাণ্ডের জেরেই কি পিছোল বিক্রমের সিনেমার মুক্তি?]
ইতিমধ্যেই তিন সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও সেনা৷ যারা এই দশজনের দলে ছিল৷ এদের মধ্যে দু’জন হল কাশ্মীরের পডরপুরা এলাকার বাসিন্দা ইশফাক আহমেদ ঠাকোর ও গায়াস-উল ইসলাম৷ আব্বাস আহমেদ ভাট নামে আরও একজন মন্ত্রীবাগের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে৷ তিনজনের ছবি ও পরিচয় দিয়ে লিফলেট প্রকাশ করেছে সোপিয়ান পুলিশ৷ অভিযুক্তদের সম্পর্কে কোনও তথ্য দিতে পারলে পুরষ্কৃত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে৷
J&K: Posters of 3 terrorists (from LeT& Hizbul Mujahideen), involved in killing of Army officer Lt. Ummer Fayaz, pasted by police in Shopian pic.twitter.com/5q3UhKyT1F
— ANI (@ANI_news) May 12, 2017
১০ মে দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলার হারমেন গ্রাম থেকে উদ্ধার হল ভারতীয় সেনার লেফটেন্যান্ট উমর ফয়াজের গুলিবিদ্ধ দেহ। কাশ্মীরের কুলগাম এলাকারই বাসিন্দা উমর। গতবছরই ভারতীয় সেনার চিকিৎসক হিসেবে কাজে যোগ দেন তিনি। এই স্বল্প পরিসরেও সেনার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। আখনুর জেলার রাজরিফ এলাকায় নিযুক্ত ছিলেন তিনি। ভাল স্পোর্টসম্যান হিসেবেও সেনায় নামডাক ছিল তাঁর। জানা গিয়েছে, ফয়াজের মৃত্যুর পর জওয়ানদের কাজের সময় ছাড়া এলাকায় চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গেও সাবধানে মেলামেশার কথা বলা হয়েছে। কারণ উমরের মৃত্যুর পর অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয়দেরও মদত রয়েছে এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে। সে কারণেই এমন পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
[বাড়িতে মহিষ জবাইয়ের অভিযোগে গৃহকর্তাকে বেদম প্রহার এলাকাবাসীর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.