ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবারই লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত সাত দফায় হবে ভোট। ফলাফল ২৩ মে। এমন পরিস্থিতিতে প্রার্থীদের জন্য বেশ কিছু নিয়মাবলি ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। রবিবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা জানিয়ে দেন, ভোট প্রচারের সময় প্রার্থীদের অন্তত তিনবার টিভি এবং সংবাদপত্রে নিজেদের ক্রিমিনাল রেকর্ড তুলে ধরতে হবে।
প্রার্থীদের জন্য এই নির্দেশিকা গত বছর ১০ অক্টোবর জারি হলেও এই প্রথমবার লোকসভা নির্বাচনে তা চালু হতে চলেছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, শুধু ব্যক্তিগত স্তরেই নয়, প্রার্থীদের কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড থাকলে সেসব সেই দলের তরফেও তুলে ধরতে হবে। অর্থাৎ ভোট প্রচারের ক্ষেত্রে শুধু নিজেদের জয়গান গাইলেই যে চলবে না, তা-ই স্পষ্ট করে দিল কমিশন। সাধারণ ভোটারদের সামনে অপরাধের তালিকাও তুলে ধরতে হবে। সুতরাং সবদিক বিচার করেই কোনও প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন আমআদমি। যে প্রার্থী বা দল নির্বাচনে লড়বে, তাদের তিনটি আলাদা-আলাদা দিনে জনপ্রিয় কোনও টিভি এবং সংবাদপত্রে ক্রিমিনাল রেকর্ডের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতে হবে। যদি কোনও প্রার্থীর এমন রেকর্ড না থাকে, সে তথ্যও উল্লেখ করতে হবে। প্রার্থীকে একটি ফর্ম ভরতে হবে, যেখানে কীরকম অপরাধে অভিযুক্ত তিনি, কোনও মামলার রায় বেরিয়েছে কিনা, কোনও মামলা এখনও আদালতের বিচারাধীন কিনা, সবকিছু উল্লেখ করতে হবে। পাশাপাশি নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রতিটি দলকে নিজেদের ওয়েবসাইটেও এসব তথ্য তুলে ধরতে হবে। তবে এধরনের বিজ্ঞাপনের খরচ প্রার্থীকেই দিতে হবে কিনা, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি কমিশন। যদিও সূত্রের খবর, নিজেদের পকেট থেকে খরচ করেই নির্দেশিকা মানতে হবে প্রার্থীদের। যে বা যাঁরা এই নির্দেশিকা অমান্য করবেন তাঁদের অনুমোদন বাতিল করে দেওয়া হবে। কিংবা সাসপেনশনের মুখে পড়তে পারেন তাঁরা।
তবে শুধু ক্রিমিনাল রেকর্ড প্রকাশের ক্ষেত্রেই নয়, এই প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের বিষয়েও বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে কমিশন। এবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে প্রার্থীদের। স্বচ্ছ ও সুস্থ ভোট প্রচার হচ্ছে কিনা, তার জন্য প্রত্যেক প্রার্থীর টুইটার, ফেসবুক এবং গুগল অ্যাকাউন্টের দিকে কড়া নজর থাকবে। এর পাশাপাশি নির্বাচনের আগে নেটদুনিয়ায় ভুয়ো খবর রুখতে বিশেষ আধিকারিক নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও ভুয়ো খবর ছড়ালেই সেই ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়াও কোনও দল সোশ্যাল সাইটে নির্বাচনী বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে তার সত্যতা প্রথমে খতিয়ে দেখা হবে। তারপরই তা প্রকাশ করা হবে। তবে এখনও কিছু প্রশ্নের উত্তর অধরাই থেকে গিয়েছে। যেমন, হোয়াটসঅ্যাপের ক্ষেত্রে প্রচার ও ভুয়ো খবরের জন্য কী ব্যবস্থা, তা স্পষ্ট নয়। কীভাবে অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াকে নজরে রাখা হবে এবং নিয়ম অমান্য করলে কী শাস্তি হবে, তাও বিস্তারিত জানায়নি কমিশন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.