সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুল শিক্ষকের পৈশাচিক লালসার শিকার দুই ছাত্রী৷ একই দিনে হায়দরাবাদের দুটি আলাদা ঘটনায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য৷ প্রথমজন দুধের শিশু এবং দ্বিতীয় জন বছর সতেরোর নাবালিকা৷ প্রথমক্ষেত্রে, এলকেজি পড়ুয়াকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে স্কুলের শারীরশিক্ষার শিক্ষকের বিরুদ্ধে৷ রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে৷ দ্বিতীয়ক্ষেত্রে, বলপূর্বক বিয়ে করে নাবালিকাকে উপর অত্যাচার চালানোর ও তার শ্লীলতাহানির করার অভিযোগ উঠেছে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে৷ উভয়ক্ষেত্রেই, পুলিশের জালে ধরা পড়েছে অভিযুক্তরা৷
[নিজভূমে পরবাসী, ২১ দিন শিলচরের ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক যুবক]
জানা গিয়েছে, এই শিশুটি হায়দরাবাদের হিন্দু পাবলিক স্কুলের পড়ুয়া৷ শনিবার স্কুল ছুটির পর তার গোপনাঙ্গে রক্ত দেখতে পান তার মা৷ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে মাকে সমস্ত ঘটনা জানায় ছোট মেয়েটি৷ অভিযোগ, ওই স্কুলের শারীরশিক্ষার শিক্ষক, শ্রীকান্ত স্যরের বিরুদ্ধে৷ শিশুটির মা জানিয়েছেন, ওই শিক্ষক আলাদা ঘরে নিয়ে দিয়ে শিশুটির সঙ্গে অভব্য ব্যবহার করে এবং তাকে রক্তাক্ত করে৷ ভয় দেখায়৷ কিন্তু রক্তাক্ত অবস্থায় মায়ের সামনে মুখ খুলে ফেলে ওই একরত্তি মেয়েটি৷ মেয়ের মুখ থেকে সমস্ত ঘটনার বর্ণনা শুনে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে এসআর নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শিশুটির পরিবার৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত শ্রীকান্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ তবে স্কুলের মধ্যেই শিশুটির সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটায় স্কুল কর্তৃপক্ষের দিকেও অভিযোগের আঙুল উঠছে৷ স্কুলের মধ্যেই বাচ্চাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অভিভাবকরা৷
[চিকিৎসক বা ওষুধপত্র নয়, পরিষ্কার শৌচালয়ই রুখতে পারে প্রাণহানি]
দ্বিতীয় ঘটনার সূত্রপাত তিন মাস আগে৷ জানা গিয়েছে, বছর সতেরোর নাবালিকাকে প্রথমে উচ্চশিক্ষার টোপ দেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক৷ নিজের দায়িত্বেই তাকে ভরতি করেন ভাল স্কুলে৷ যেটা ওই মেয়েটির বাড়ি থেকে অনেক দূরে৷ ফলে, বাধ্য হয়েই স্কুলের কাছে বাড়ি ভাড়া করে থাকত নাবালিকাটি৷ অভিযোগ, এরপরই নিজের আসল রূপ প্রকাশ করে ওই অভিযুক্ত শিক্ষক৷ পুলিশকে দেওয়া বয়ানে নাবালিকা জানায়, বাড়ির অজান্তে প্রথমে বলপূর্বক তাকে বিয়ে করে অভিযুক্ত৷ তারপর, দীর্ঘ তিনমাস ধরে তার উপর অকথ্য অত্যাচার চালায়৷ অবশেষ সুযোগ বুঝে বাড়িতে পালিয়ে আসে সে৷ তবে, ভয়ের জন্য প্রথমেই সবকিছু মাকে জানায়নি সে৷ পরে মায়ের কাছে ধরা পড়ে যায় এবং সমস্ত ঘটনা খুলে বলে৷ পরিবার সূত্রের খবর, এরপরই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে পরিবারটি৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে অভিযুক্ত শিক্ষক সৈয়দ আকবর ও তার এক সাগরেদ, ইমরান খানকে৷ রাজ্যে বেড়ে চলা মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় যথেষ্ট বিব্রত প্রশাসন৷ মহিলাদের প্রতিবাদের ভাষা শেখাতে প্রচারে নামতে চলেছে মহিলাদের অধিকার রক্ষার্থে গঠিত রাজ্যের মানবাধিকার সংগঠনগুলি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.