Advertisement
Advertisement

Breaking News

Pragya Singh Thakur

ভোরবেলার আজানে বেড়ে যায় রক্তচাপ, ব্যাঘাত হয় ঘুমের! প্রজ্ঞা ঠাকুরের মন্তব্যে বিতর্ক

প্রজ্ঞাকে ক্ষমা চাইতে হবে, দাবি কংগ্রেসের।

Loud calls in early morning disturb sleep of people, Says Pragya Singh Thakur | Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:November 11, 2021 9:38 am
  • Updated:November 11, 2021 9:38 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্ক আর প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর (Pragya Singh Thakur) যেন সমার্থক। মাঝে মাঝেই আলটপকা মন্তব্য করে বিতর্কে থাকতে পছন্দ করেন মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত তথা মধ্যপ্রদেশের ভোপালের বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা (Sadvi Pragya) বা প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। তাঁর আলটপকা মন্তব্যের তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন হল ভোরবেলার আজানের ‘প্রতিবাদ’। ভোপালের বিজেপি সাংসদের বক্তব্য, ভোরবেলার আজান ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। রোগীদের রক্তচাপ বাড়ায়। যদিও সরাসরি ‘আজান’ শব্দটি উচ্চারণ করেননি তিনি।

Loud calls in early morning disturb sleep of people, Says Pragya Singh Thakur

Advertisement

মঙ্গলবার ভোপালের বেরাসিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে প্রজ্ঞা বলেন,”ভোরবেলায় সাড়ে পাঁচটার সময় খুব জোরে আওয়াজ হয়। সেই শব্দ বাড়তেই থাকে। মানুষের ঘুম ভেঙে যায়। অনেক রোগীর সমস্যা হয়। তাঁদের রক্তচাপ বেড়ে যায়।” বিজেপি (BJP) সাংসদের অনুযোগ, “ওঁদের প্রার্থনার আওয়াজ বারবার আমাদের শুনতে হয়। কিন্তু তাতে কারও কিছু এসে যায় না। কিন্তু আমরা যখন মাইক ব্যবহার করি বা প্রার্থনা করি, তখনই বিধর্মীদের সমস্যা হয়। ওঁরা নাকি অন্য ধর্মের প্রার্থনা শুনতে পারে না। এটা নাকি ইসলামে বারণ। আমরা হিন্দুরা অন্যদের ধর্মবিশ্বাসের দিকে নজর রাখি কারণ, আমরা সর্বধর্মে বিশ্বাস করি। কিন্তু আমাদের কি এটা করা উচিত?”

[আরও পড়ুন: Tripura civic polls: ‘ভয়ে’ মনোনয়ন প্রত্যাহার বিরোধীদের, ত্রিপুরার এক তৃতীয়াংশ ওয়ার্ডে ভোটের আগেই জয়ী বিজেপি]

প্রজ্ঞার এই মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কংগ্রেস (Congress) বিধায়ক আরিফ মাসুদের দাবি, ‘প্রজ্ঞা ঠাকুর একটি ধর্মীয় নিয়মের অপমান করছেন। তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত। এই ধরনের বক্তব্য আসল ইস্যু থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা। বিজেপি অবশ্য বলছে, ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। প্রজ্ঞা যদি এমন কিছু বলেও থাকেন, তাহলে সেটা তাঁর বক্তিগত মত। এবং তাঁর মত প্রকাশের অধিকার আছে।

[আরও পড়ুন: ‘ভারত হিন্দুদের দেশ, সব মাদ্রাসা বন্ধ হওয়া উচিত’, অসমের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক]

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ প্রজ্ঞা। গত ফেব্রুয়ারি মাসে এইমসে ভরতি হন তিনি। পরে মার্চে নয়াদিল্লি থেকে তাঁকে মুম্বইয়ে উড়িয়ে আনা হয়। মূলত শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন তিনি। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরেও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন প্রজ্ঞা। গত মে মাসে তিনি দাবি করেছিলেন, প্রতিদিন যদি দেশি গোমূত্র পান করা যায়, তবে তা কোভিড (Covid-19) থেকে হওয়া ফুসফুস সংক্রমণ সারিয়ে দিতে পারে। এই মন্তব্য থেকেও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement