সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে ১৫ ও ১৬ বছরের দুই কিশোরীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত কর্নাটকের (Karnataka) মাইসুরুর লিঙ্গায়েত ধর্মগুরু শিবমূর্তি। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর শিবমূর্তি আটক করা হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। যার জন্য বিক্ষোভে উত্তাল হয় মাইসুরু (Measure) শহর। এবার ওই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস (Lookout Notice) জারি করল কর্ণাটক পুলিশ।
মাইসুরুর চিত্রদুর্গা এলাকার লিঙ্গায়েত মঠের ‘ধর্মগুরু’ শিবমূর্তি মুরুগা শরনারু (Shivamurthy Murugha Sharanaru)। মঠচালিত স্কুলে পড়ত ১৫ ও ১৬ বছরের দুই কিশোরী, থাকত মঠেরই হস্টেলে। অভিযোগ, শিবমূর্তি প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে ওই দুই ছাত্রীর উপরে অত্যাচার চালান। গত ২৪ জুলাই ওই দুই ছাত্রী হস্টেল ছাড়ে। পরদিন ২৫ জুলাই তাদের খোঁজ মেলে কোটাপেট থানায়। যদিও প্রায় মাস খানেক পর গত ২৬ আগস্ট শিবমূর্তির বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। এছাড়াও ওই মঠের হস্টেলের ওয়ার্ডেন-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়।
প্রাথমিক ভাবে আটক করা হলেও শিবমূর্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এমনকী তিনি মঠেই ফিরে আসেন। যে ঘটনার স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। প্রশ্ন তোলেন, একজন ধর্ষণে অভিযুক্ত কী করে মঠে ফিরে আসেন। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। কিশোরীদের মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হলেও শিবমূর্তির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হল না কেন, পুলিশ প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন তোলেন। পালটা শিবমূর্তির দাবি করেন, সমর্থকেরা তাঁর পাশে রয়েছেন। মঠে ফিরে তিনি বলেন, ‘‘আমার পাশে থেকে সকলেই সাহস জুগিয়েছেন। ভয় পাওয়ার কারণ নেই। আইনের প্রতি ভরসা রাখুন।’’
মনে করা হচ্ছে জনতার বিক্ষোভে চাপে পড়ে ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করল কর্ণাটক পুলিশ। শিবমূর্তির বিরুদ্ধে পুলিশের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রশাসনকে না জানিয়ে দেশ ছাড়তে পারবেন না এই ধর্মগুরু। দেশের সবক’টি বিমানবন্দর ও জাহাজ ডকে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.