সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোপনে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন তিনি। এবার কি এদেশে ব্যবসাও গুটিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করছেন হীরকরাজ নীরব মোদি? সূত্রের খবর, ভারতে সংস্থার কর্মীদের উদ্দেশ্যে একটি ই-মেল করেছেন ফায়াস্টার ডায়মন্ডসের মালিক। মেলে ঋণখেলাপি এই হীরে ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, কর্মীদের আর বেতন দিতে পারবেন না তিনি। তাঁরা যেন অন্য চাকরি খুঁজে নেন। শোনা যাচ্ছে, সিবিআই, ইডি ও বিদেশমন্ত্রকের কাছেও চিঠি পাঠিয়েছেন নীরব মোদি।
[টাকা ফেরানোর রাস্তা বন্ধ করেছে পিএনবি, চিঠিতে দুষলেন নীরব]
পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক বা পিএনবিতে আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে এখন উত্তাল গোটা দেশ। হীরকরাজ নীরব মোদির বিরুদ্ধে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে একযোগে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই ও ইডি। তবে মূল অভিযুক্ত এখনও বেপাত্তা। জানা গিয়েছে, ১ জানুয়ারি গোপনে দেশ ছেড়েছেন নীরব। কিন্তু, কোথায় পালালেন তিনি? অন্ধকারে তদন্তকারীরা। প্রথমে শোনা যাচ্ছিল, সপরিবারের নিউ ইয়র্কে রয়েছেন বিতর্কিত এই হীরে ব্যবসায়ী। কিন্তু, বিভিন্ন সূত্রে একাধিক দাবি উঠেছে। কেউ বলছেন, আরব আমিরশাহি, কারও মত সুইজারল্যান্ড বা ইউরোপে কোনও দেশেই লুকিয়ে রয়েছেন নীরব। অন্য একটি সূত্র থেকে আবার জানা গিয়েছে, নীরব মোদির আইনজীবীরা পৌঁছেছেন দুবাইয়ে। তবে বিতর্কিত এই হীরে ব্যবসায়ীর খোঁজ না মিললেও, তাঁর পাসপোর্টটি সাসপেন্ড করে দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। এদিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নীরবের সংস্থার অফিস ও শো রুমে তল্লাশি চালিয়েছেন সিবিআই ও ইডির আধিকারিকরা। ফ্রিজ করা দেওয়া ব্যাংক আকাউন্টও। এই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার নীরব মোদির একটি চিঠি প্রকাশ্যে আসে। গত ১৫ ফ্রেরুয়ারি লেখা সেই চিঠিতে পিএনবি কর্তৃপক্ষকে দুষেছিলেন এই হীরে ব্যবসা। নীরব মোদি জানিয়েছিলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ঋণ মেটাতে চান তিনি। কিন্তু, দেশ জুড়ে যে তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে যেভাবে অভিযান চলছে, তাতে বকেয়া অর্থ ফেরানোর পথ কার্যত বন্ধ হতে বসেছে। সংস্থার ভাবমূর্তিও নষ্ট হয়েছে। আর এবার মেল করে এদেশে তাঁর সংস্থার কর্মীদের নিজের আর্থিক দুর্দশার কথা জানিয়ে দিলেন নীরব মোদি।
[শুধু নীরব মোদি নন, পিএনবি থেকে ঋণ নিয়েছিলেন দেশের এই প্রধানমন্ত্রীও]
ই-মেলে কী লিখেছেন এই বিতর্কিত হীরে ব্যবসায়ী? নীরব মোদির স্পষ্ট বার্তা, ‘দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কারখানা ও শো রুম থেকে যাবতীয় সামগ্রী সরিয়ে ফেলা হয়েছে কিংবা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে ব্যাংক অ্যাকাউন্টও। তাই আপনাদের বকেয়া বেতন মেটানো আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। তাই আপনারা যদি অন্য চাকরি খুঁজে নেন, তাহলে ভাল হবে।’ বস্তুত, যে দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত চালানো হচ্ছে, তাতে গোটা প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নীরব মোদি।
[জনসভায় ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর দিকে উড়ে এল জুতো, ভাইরাল ভিডিও]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.