প্রতীকী ছবি।
প্রণব সরকার, আগরতলা: কিছুদিন আগে ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশি-সহ প্রচুর রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত কয়েকমাস ধরে বাংলাদেশের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। সেই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশিরা গণহারে ভারতের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সীমান্তে কাঁটাতার পেরিয়ে এদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে বলেই জানা যাচ্ছে। যা বিএসএফের ব্যর্থতা বলে অভিযোগ তুলে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। বিজেপি নেতারা বাংলা নিয়ে কথা বলার আগে ত্রিপুরার দিকে নজর দিক বলে আক্রমণ করেছে তৃণমূল।
১ আগস্ট থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত শুধুমাত্র আগরতলা রেল স্টেশন থেকে ১০ জন রোহিঙ্গা-সহ ১০০ জন বাংলাদেশি গ্রেপ্তার হয়েছে। এদের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা বেশি। বেশিরভাগ মহিলাকে বিউটি পার্লারের কাজে পাচার করা হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৯৫ শতাংশই প্রথমবারের জন্য ত্রিপুরা অর্থাৎ ভারতে প্রবেশ করেছিল। তাদের মধ্যে আবার প্রায় ৫০ জন মানব পাচারকারী ছিল বলে খবর। ধৃতদের থেকে জাল ভারতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী বেশিরভাগই কলকাতায় এবং দিল্লিতে যাওয়ার ছক কষেছিল। এমনই বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন আগরতলা রেল পুলিশ স্টেশন থানার ওসি তাপস দাস।
বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে অবাধে ত্রিপুরায় ঢুকছে জঙ্গিরা! দিন দুয়েক আগে আগরতলা স্টেশন থেকে তিন জঙ্গি গ্রেপ্তার হয়েছে। তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নোয়াখালির বাসিন্দা। জানা যাচ্ছে, ত্রিপুরা হয়ে ট্রেনে কলকাতায় আসার পরিকল্পনা ছিল ধৃতদের। শুধু তাই নয়, বাংলাতে হামলার ছকও ছিল তাদের।
এখানেই বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশ্ন, কী করছে অমিত শাহের বিএসএফ? কী করছে শাহের মন্ত্রক? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই বা কী করছেন? বিজেপি নেতারা বাংলা নিয়ে কথা বলার আগে তাঁদের ত্রিপুরার দিকে নজর দিক বলে আক্রমণ করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে ত্রিপুরায় ঢোকা জঙ্গিদের কাছে অনেক বেশি সহজ।
তৃণমূলের দাবি, বাংলাদেশ থেকে একের পর এক জঙ্গি সীমান্ত পেরিয়ে ত্রিপুরায় ঢুকেছে। সেখান থেকে ট্রেন ধরে কলকাতায় প্রবেশের চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, সাত-আট বছর ধরে অনেক জঙ্গি সেখানে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কিছু নতুন করে ঢুকেছে। কী করছে ত্রিপুরার বিজেপি সরকার? প্রশ্ন তৃণমূলের। সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব বিএসএফের। সেখানে এই অনুপ্রবেশ নিয়ে বিএসএফের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা দরকার বলে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.