সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপির দায় তাঁর কাঁধে৷ গা ঢাকা দিয়েছেন বিদেশে৷ সেখানে অবশ্য বুক ফুলিয়েই ঘুরে বেড়াচ্ছেন৷ খোশমেজাজে মজছেন ক্রিকেটে৷ এবার সেখান থেকেই দেশের বিরুদ্ধে বিদ্রুপ ছুড়ে দিলেন লিকার ব্যারন বিজয় মালিয়া৷ তাঁর দাবি, দেশ কোটি কোটি টাকার স্বপ্ন দেখেই যাক৷ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা কোনও অভিযোগই প্রমাণিত হবে না৷
[ পরপর ৫টি জঙ্গি হামলায় কাঁপল কাশ্মীর, জখম ১২ জওয়ান ]
মালিয়াকে দেশে ফিরিয়ে বিচার শুরুর চেষ্টা করছে প্রশাসন৷ সেই সংক্রান্ত শুনানিতে কিন্তু মালিয়ার বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণই দাখিল করতে পারল না ভারত৷ দেশের পক্ষে সওয়াল করছিলেন অ্যারন ওয়াটকিনস৷ বিচারপতি এমা আরবুথনটকে তিনি জানান, ভারত সরকার থেকে সমস্ত প্রমাণ আসতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে৷ ফলত আরও তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় চান তিনি৷ এতে বেশ ক্ষুব্ধই হন বিচারক৷ তিনি পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, ভারতীয়রা কি তাড়াতাড়ি কোনও কিছুর উত্তর দিতে পারে না? এমনিতেই প্রায় মাস ছয়েক সময় পেরিয়ে গিয়েছে, অথচ কাজের বিশেষ অগ্রগতি না পেয়ে ভারতকে খানিকটা কটাক্ষই করেন বিচারপতি৷ এরপরই পরবর্তী শুনানির দিন পিছিয়ে দেন তিনি৷ জুলাইয়ের পরিবর্তে তা গিয়ে পৌঁছয় ডিসেম্বরে৷ ফলে সম্ভবত আগামী বছরের আগে মালিয়া কাণ্ডের কোনও সুরাহা হওয়া সম্ভব নয়৷
[ দৈনন্দিন জীবন থেকে যৌনতা-আমিষ খাবার বাদ দিলেই মিলবে সুস্থ সন্তান! ]
যে প্রশাসন মালিয়াকে ফিরিয়ে এনে বিচার করতে চায়, তারাই প্রমাণ জমা দিতে এত দেরি করল কেন, তার অবশ্য উত্তর মেলেনি৷ অন্যদিকে আদালতের এই নির্দেশের পর দেশকেই একহাত নিলেন মালিয়া৷ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কটাক্ষ করে লিকার ব্যারন জানান, তিনি আগেও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ নাকচ করেছেন৷ এখনও তাই করছেন৷ তাঁর বিদ্রুপ, দেশ কোটি কোটি টাকার স্বপ্ন দেখুক৷ কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগই প্রমাণিত করতে পারবে না৷
[ বিনুনি না বাঁধায় শাস্তি! হাসপাতালে ভর্তি পঞ্চম শ্রেনির ছাত্রী ]
মালিয়ার এই প্রতাপ তার বডি ল্যাঙ্গোয়েজেই প্রকাশ পাচ্ছিল দিন কয়েক আগেও৷ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খোশমেজাজে ভারতের ম্যাচ দেখেন৷ পরে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির চ্যারিটি ডিনারে গিয়েও হাজির হন৷ এরপর অন্য ম্যাচ দেখতে এলে কিছু ভারতীয় চোর চোর বলে তাঁকে দেখে বিদ্রুপ করে৷ কিন্তু এতেও কোনও হেলদোল ছিল না মালিয়ার৷ আদালতের এই শুনানি যেন বলে দিল কেন এত নিশ্চিন্ত ছিলেন লিকার ব্যারন৷ কেন তাঁকে ব্যাঙ্কগুলি সম্মিলিতভাবে ঋণ দিয়েছিল, আর কেনইবা কোনও কোনও ব্যাঙ্ক তা মকুব করার সিদ্ধান্ত নিল, তার উত্তর এতদিনেও পায়নি দেশবাসী৷ ঠিক সেভাবেই কেনইবা গত ছ’মাসেও তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত প্রমাণ দাখিল করা গেল না, তারও উত্তর নেই দেশবাসীর কাছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.