(বাঁদিকে) শুভেন্দু অধিকারী, (মাঝে) দিলীপ ঘোষ এবং (ডানদিকে) সুকান্ত মজুমদার
বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: মেদিনীপুরে দিলীপ ঘোষকে ঠেকাতে হাতে হাত মেলালেন সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার অমিত শাহ ও জে পি নাড্ডার কাছে মেদিনীপুরে দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী না করার আর্জি জানান। যেহেতু তৃণমূল জুন মালিয়াকে প্রার্থী করেছে তাই মেদিনীপুরে কোনও মহিলা তারকাকে প্রার্থী করার পক্ষে দুজনেই সওয়াল করেন বলে সূত্রের খবর। যদি একান্তই রাজনৈতিক কোনও ব্যক্তিকে প্রার্থী করতে হয়, সেক্ষেত্রে বিরোধী দলনেতার ভাই সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া দিব্যেন্দুকে প্রার্থী করার দাবি জানানো হয় বলে জানা গিয়েছে।
সোমবার সকালে বাংলার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ। আবার শুধু বাংলা নয়। বিহার ও উত্তরপ্রদেশের কোর কমিটির সঙ্গেও বৈঠক করেন শাহ ও নাড্ডারা।
রাজ্যের যেসব আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দলে অভিযোগ রয়েছে তাঁদের তালিকা কমিশনের পর্যবেক্ষক, নির্বাচন কমিশন ও দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী সেলে পাঠানোর নির্দেশ দিলেন অমিত শাহ। সূত্রের খবর, বঙ্গ বিজেপির প্রতিনিধি দলের সদস্যদের জানান, যে মাত্র পর্যবেক্ষকরা রাজ্যে যাবেন সেই মুহূর্তে তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে অভাব অভিযোগ জানাতে হবে। আগামী দুমাস কোনও ঢিলেমি বরদাস্ত করা হবে না বলে জানান শাহ।
তবে এদিনের বৈঠকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল বাংলার বেশ কয়েকটি আসনে প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করা।বিশেষ করে, দার্জিলিং, রায়গঞ্জ, দমদম, মেদিনীপুর আসানসোলের প্রার্থীদের নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। অনেক ক্ষেত্রেই প্রার্থীদের নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বঙ্গ নেতাদের মতানৈক্য হয় বলে সূত্রের খবর। বিশেষ করে দার্জিলিং ও মেদিনীপুর আসনের প্রার্থীদের নিয়ে। সূত্রের খবর, দিলীপ ঘোষকে ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী করে মেদিনীপুরে মহিলা প্রার্থী দেওয়ার পক্ষে বঙ্গ নেতারা সওয়াল করেন। যদিও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দিলীপ ঘোষকেই প্রার্থী করতে চান বলে জানা গিয়েছে।
গত ২ মার্চ গেরুয়া শিবিরের তরফে বাংলার ২০ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। কিন্তু আসানসোল থেকে প্রার্থী হতে অস্বীকার করেন ভোজপুরী গায়ক পবন সিং। তার পর বিজেপি দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করলেও বাংলার কোনও আসন ছিল না। এর মধ্যে ১০ তারিখ ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে ৪২ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ ভারতে নির্বাচনের প্রচার চালাচ্ছেন। ফলে এখনই দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক হচ্ছে না। লোকসভার (2024 Lok Sabha Election) প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে আরও দু-তিনদিন লাগতে পারে। প্রার্থী তালিকা প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় দলের অন্দরে অসন্তোষ বাড়ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.