ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময়টা সত্যিই খারাপ যাচ্ছে শরদ পওয়ারের (Sharad Pawar)। দল ভাঙানোর সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে দলের নাম ও প্রতীক দুইই পেয়েছেন ভাইপো অজিত পওয়ার। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) গিয়েও ‘ঘড়ি’ ফেরত পেলেন না মারাঠা স্ট্রংম্যান। ফলে লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘আম ও ছালা’ দুই-ই গেল শরদ পাওয়ারের।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল অজিত পওয়ার গোষ্ঠীই আসল এনসিপি। আসন্ন নির্বাচনে দলের নাম ও প্রতীক ব্যবহারের অনুমোদনও পায় শরদের ভাইপো। এই ঘটনার একদিন পর শরদ পওয়ার গোষ্ঠীর দলের নাম এনসিপি (শরদচন্দ্র পওয়ার) ব্যবহারের অনুমতি দেয় কমিশন। যদিও কোনও প্রতীক দেওয়া হয়নি তাঁদের।
এদিকে শীর্ষ আদালতে শরদ গোষ্ঠী অভিযোগ জানায়, শুধু এনসিপির নয়, লোকসভার ভোটপ্রচারে এনসিপির অজিত গোষ্ঠী শরদ পওয়ারেরও নাম এবং ছবি ব্যবহার করে সাধারণ ভোটারদের বিভ্রান্ত করা চেষ্টা করছেন। সেই মামলায় গত ১৪ মার্চ আদালতের তরফে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, অজিত গোষ্ঠী নির্বাচনে শরদ পওয়ারের ছবি ব্যবহার করতে পারবে না। এমনকী দলের প্রতীক ব্যবহারেও ‘মৌখিক’ নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত সোমবার এই মামলায় অজিত গোষ্ঠীকে দলের প্রতীক হিসাবে ‘ঘড়ি’ ব্যবহারের অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট।
উল্লেখ্য, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এনসিপিতে (NCP) গোষ্ঠী কোন্দল চরমে পৌঁছায়। সদলবলে শরদ পওয়ারের (Sharad Pawar) এনসিপি থেকে বেরিয়ে বিজেপির হাত ধরেন ভাইপো অজিত পওয়ার। মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভায় যোগ দেন এনসিপির ৯ বিধায়ক। অজিত নিজে উপমুখ্যমন্ত্রী হন। ক্ষুব্ধ শরদ অজিত শিবিরের একাধিক নেতাকে বরখাস্ত করেন। দাবি করেন, আসল এনসিপি তাঁরাই। বিষয়টি গড়ায় নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত। সেখানেই দলের নাম ও প্রতীক হারাতে হয় শরদ গোষ্ঠীকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.