Advertisement
Advertisement

Breaking News

Lok Sabha Election 2024

ভোটের ফল নির্ধারণ করবে তিন রাজ্যই, মোদির ‘৪০০ পার’ নিয়ে মত বিশেষজ্ঞদের

তিনটি রাজ্য অনেক নেতার ভাগ্যও নির্ধারণ করবে। এই তিনটি রাজ্য় ঠিক করে দেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাওয়া তোলা ‘চারশো পার’ সত্যি হবে কি না। কারণ এই তিন রাজ্যের ভোটাররা সংসদে ১৩০ জন সাংসদ পাঠাবেন, যা লোকসভার প্রায় এক-চতুর্থাংশ আসন।

Lok Sabha Election 2024: Three states will be key factor for BJP's win in Lok Sabha Polls

ফাইল ছবি

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:April 15, 2024 9:08 am
  • Updated:April 15, 2024 2:23 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত যখন লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) দোরগোড়ায়, ঠিক সেই সময়েই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেরও প্রস্তুতি চলছে। সে দেশে সাতটি প্রদেশ রয়েছে, যারা এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করতে পারে। তেমনই ভারতের নির্বাচনেও তিনটি রাজ‌্য ভোটের ফল নির্ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। শুধু তাই নয়, এই তিনটি রাজ‌্যই অনেক নেতার ভাগ‌্যও নির্ধারণ করবে। এই তিনটি রাজ‌্যই ঠিক করে দেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাওয়া তোলা ‘চারশো পার’ সত্যি হবে কি না। এই তিনটি রাজ্য হল পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং মহারাষ্ট্র। এই তিন রাজ্যের ভোটাররা সংসদে ১৩০ জন সাংসদ পাঠাবেন, যা লোকসভার প্রায় এক-চতুর্থাংশ আসন।

একদিকে বেশিরভাগ রাজ্যেই ফলাফল স্পষ্ট, পাঁচটি আসন এদিক-ওদিক হতে পারে। তবে বাংলায়, যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির দ্বিমুখী লড়াই হচ্ছে, সেখানে ফলাফল আন্দাজ করা কঠিন। বিহারে লোকসভা ভোটের কিছুদিন আগেই সমীকরণ বদলে গিয়েছে। আরজেজি-কংগ্রেস-বামেদের মহাগঠবন্ধন ছেড়ে বিজেপি নেতৃত্বের এনডিএতে যোগ দিয়েছে নীতীশ কুমারের জেডিইউ। প্রথাগতভাবে এই রাজ‌্যটি সবসময়ই অনিশ্চিত। প্রাক-নির্বাচন প্রবাহ তাকে আরও অনিশ্চিত করে তোলে। ২০১৯-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে মহারাষ্ট্রের রাজ‌্য-রাজনীতিতে একাধিকবার সমীকরণ বদল হয়েছে। শিব সেনা ওই নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করেছিল। তবে জোটের জয়ের পর মুখ‌্যমন্ত্রীর কুর্সি নিয়ে দ্বন্দ্বে শিব সেনা-বিজেপি জোট ভেঙে যায়। কংগ্রেস ও এনসিপির সমর্থন নিয়ে সরকার গড়ে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিব সেনা। সরকারের অর্ধেক মেয়াদ ফুরানোর আগেই আবার শিব সেনার একটি অংশ একনাথ শিণ্ডের নেতৃত্বে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বিজেপির সমর্থন নিয়ে সরকার গড়ে। কিছুকাল পরে এনসিপির অজিত পাওয়ার একই পথে হেঁটেছেন। বর্তমানে শিব সেনার উদ্ধব গোষ্ঠী, এনসিপির শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী এবং কংগ্রেসের জোট রয়েছে মহারাষ্ট্রে। ক্ষমতাসীন জোটের সঙ্গে তাদের এবার মুখোমুখি লড়াই।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পাকিস্তানে গুলিতে নিকেশ সরবজিৎ খুনের মূল অভিযুক্ত, নেপথ্যে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী]

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সবচেয়ে বড় সাফল‌্য ছিল বাংলায় ৪২ আসনের মধ্যে ১৮টিতে জয়। ২০১৪-য় প্রাপ্তি ১৭ শতাংশ ভোট বেড়ে হয়েছিল ৪০ শতাংশ। ১ জুন পর্যন্ত বাংলায় ভোট চলবে। কাজেই এখনই বাংলার হাওয়া স্পষ্ট হবে না। তবে ওয়াকিবহাল মহল বলছে, বাংলায় এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। বিজেপি যদি ২০১৯ সালের তুলনায় আরও দুটি আসন বাড়িয়ে নেয় তবে এটি তার জন্য একটি বড় বিজয় হবে। আবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ‌্যায় যদি বিজেপির কাছ থেকে দুটি আসন ছিনিয়ে নিতে পারেন তবে এটি তার জন্য একটি বড় জয় হবে। এই লড়াইটা ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের জন‌্যও গুরুত্বপূর্ণ।

২০১৯-এর নির্বাচনে বিহারে ৪০টি আসনের মধ্যে ৩৯টিতে জিতেছিল এনডিএ। সেটা যেমন অপ্রত‌্যাশিত ছিল, তেমনই ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলও। সে সময় অনেকেই অঙ্ক কষেছিলেন যে বিজেপি জয়ী হবে। তবে ভোটগণনা শুরুর দু’ঘণ্টা পরেই দেখা যায় নীতীশ কুমার এবং লালুপ্রসাদের মহাগঠবন্ধন জিতছে। এবার অনিশ্চয়তা বাড়িয়েছে নীতীশ কুমার এবং তাঁর দলের শিবির পরিবর্তন। অনেক ভোটার মনে করেন যে, নীতীশ কুমার যখন আরজেডি-কংগ্রেস মহাগঠবন্ধনের সঙ্গে ছিলেন তখন সেটা রাজ্যের জন্য ভালো ছিল। তাঁর এনডিএ-তে ফেরা বিহারকে সাহায্য করবে না। ভোটবাক্সে এর প্রতিফলন ঘটলে বিজেপির যা ক্ষতি হওয়ার, তা তো হবেই, নীতীশ কুমারের রাজনৈতিক ভবিষ‌্যৎ চ‌্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যাবে। এনডিকেও ৪০০-র অনেক দূরে থামতে হবে।

[আরও পড়ুন: যুবতী শিক্ষিকার যৌন লালসার শিকার নাবালক ছাত্র, গাড়ির ব্যাকসিটেই সঙ্গম!]

মহারাষ্ট্র লোকসভায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক সাংসদ পাঠায়। ২০১৪ সাল থেকে এনডিএর জন্য একটি সহজ রাজ্য থাকলেও এখন পরিস্থিতি আর আগের মতো নেই। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে মহারাষ্ট্রের রাজনীতি এবং রাজনৈতিক দল, দুটিই পরিবর্তিত হয়েছে। সেবার মহারাষ্ট্রের ৪৮টি আসনের মধ্যে ৪১টি এনডিএকে দিয়েছিল, যখন বিজেপি এবং উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিব সেনা জোটে লড়াই করছিল। এবার সমীকরণ পালটেছে। ফলে খেলা ঘুরে যাওয়া সম্ভব। তবে আসল ছবির জন‌্য অপেক্ষা করতেই হবে ৪ জুন পর্যন্ত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement