সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবারে লোকসভা ভোটে গুজরাটে কংগ্রেসের তারকা প্রচারক তিনি। তবে আইনি জটিলতায় সম্ভবত সরাসরি ভোটে লড়তে পারবেন না পাতিদার আন্দোলনের নেতা হার্দিক প্যাটেল। পুরনো একটি মামলায় কারাদণ্ডের উপর স্থগিতাদেশ জারির আবেদন খারিজ করে দিল গুজরাট হাই কোর্ট। কংগ্রেসের দাবি, ভয় পেয়ে পরিকল্পনামাফিক আইনি পথে হার্দিকের ভোটে দাঁড়ানোর আটকে দিয়েছে গুজরাটের বিজেপি সরকার।
২০১৫ সাল থেকে গুজরাটের সরকারি চাকরি ও শিক্ষায় সংরক্ষণের দাবিতে আন্দোলন করেছেন পাতিদার সম্প্রদায়ের মানুষেরা। সেই আন্দোলনের নেতা হার্দিক প্যাটেল। ২০১৫ সালে পুর নির্বাচন ও ২০১৭ বিধানসভা ভোটের গুজরাটে কংগ্রেসকে সমর্থন করেছিল পাতিদারের সংগঠন পাতিদার অনামত আন্দোলন সমিতি। চলতি মাসে শুরুতে হার্দিক নিজে কংগ্রেসে যোগ দেন। লোকসভা ভোটে গুজরাটে বছর পঁচিশের এই তরুণ নেতার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে চাইছে সোনিয়া গান্ধির দল। মোদির রাজ্যে হার্দিকই কংগ্রেসের তারকা প্রচারক। তবে শুধু প্রচার করাই নয়, লোকসভা ভোটে তিনি কংগ্রেসের প্রার্থী হতেও আগ্রহী বলে খবর৷ শোনা যাচ্ছে, গুজরাটের জামনগর লোকসভা কেন্দ্রে থেকে ভোটের লড়ার পরিকল্পনা করছিলেন হার্দিক। কিন্তু, গুজরাট হাই কোর্টের রায়ের পর হার্দিক আর ২০১৯এর ভোটে লড়তে পারবেন না বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
২০১৫ সালে গুজরাটে ভিসনগরে স্থানীয় বিধায়কের বাড়িতে হামলার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হন হার্দিক প্যাটেল। তাঁকে দু’বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। এদিকে আবার আইন অনুযায়ী, কেউ যদি দু’বছর বা তার বেশি মেয়াদের সাজাপ্রাপ্ত হন, তাহলে তিনি ভোটে লড়তে পারবেন না। তাই সাজার স্থগিতের আবেদন জানিয়ে গুজরাট হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল হার্দিক প্যাটেল। তাঁর আবেদনকে চ্যালেঞ্জ করে গুজরাট সরকার। শুক্রবার সেই মামলায় রায়েই হার্দিক প্যাটেলের সাজা স্থগিতাদেশ আবেদন খারিজ করে দিল গুজরাট হাই কোর্ট। এদিকে আগামী ৪ এপ্রিল গুজরাটে লোকসভা ভোটে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন। তাই যদি হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হার্দিক প্যাটেল সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন, সেক্ষেত্রেও মামলার নিষ্পত্তি হতে সময় লাগবে। অতএব, বিশেষ পরিস্থিতি সাপেক্ষে বিচারব্যবস্থা দ্রুততার সঙ্গে না এগোলে এযাত্রা হার্দিকের ভোটে লড়া সম্ভব হচ্ছে না৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.