নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: সংসদের বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনেও মণিপুর উত্তাপ সংসদে। মণিপুরে এই অবস্থা কেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) জবাব দিতে হবে। এই দাবিতে দ্বিতীয় দিনও লাগাতার বিক্ষোভ বিরোধীদের। যার জেরে ফের উত্তাল সংসদের দুই কক্ষ। দফায় দফায় মুলতুবি অধিবেশন। শেষে লোকসভা দিনের মতো মুলতুবি করে দিতে হয়।
অধিবেশন শুরুর আগেই সরকার পক্ষ দাবি করেছিল মণিপুর নিয়ে আলোচনায় তারা প্রস্তুত। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সরকার মণিপুর ইস্যুতে বিস্তারিত আলোচনায় রাজি নয় কেন্দ্র। সংক্ষেপে নম বন করে আলোচনা সারতে চাইছে। বিরোধীরা যেখানে রুল নম্বর ২৬৭ অনুযায়ী বিস্তারিত আলোচনা চাইছেন, সেখানে সরকার রুল নম্বর ১৭৬ অনুযায়ী সংক্ষেপে আলোচনায় রাজি কেন্দ্র। বিরোধীরা চাইছেন সংসদে এসে বিবৃতি দিন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এত বড় ইস্যুতেও মোদি সংসদে বলতে রাজি নন।
স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রের অবস্থানে অসন্তুষ্ট বিরোধী শিবির। শুক্রবার অধিবেশন শুরু হতেই সেই অসন্তোষের আঁচ দেখা গেল। একযোগে স্লোগান দেওয়া শুরু করেন কংগ্রেস (Congress), ডিএমকে (DMK) এবং বামপন্থী দলগুলি। বিরোধীরা স্লোগান দেওয়া শুরু করেন, প্রধানমন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে। মোদি সংসদে আসুন, মণিপুর নিয়ে জবাব দিন। তাঁদের নিরস্ত করার চেষ্টা করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। তিনি বলেন, এভাবে কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। শুধু আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব। কিন্তু তাতেও থামেনি বিক্ষোভ ফলে প্রথমে ১২ টা পর্যন্ত এবং পরে দিনের মতো লোকসভা মূলতুবি করে দেওয়া হয়। একই ছবি দেখা গেল রাজ্যসভাতেও। যার জেরে প্রথমে ১২টা পর্যন্ত এবং পরে আড়াইটে পর্যন্ত রাজ্যসভার অধিবেশনও মুলতুবি করে দেওয়া হয়। তারপরও বিরোধীরা বিক্ষোভ দেখালে গোটা দিনের মতো অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়।
ফলে পরপর দু’দিন কার্যত অকেজো হয়ে রইল সংসদের দুই কক্ষই। যদিও এজন্য বিরোধীদের মনোভাবকেই দায়ী করছে সরকার। তাঁদের দাবি, বিরোধীরা আসলে আলোচনা চায় না। সংসদের অধিবেশন ভণ্ডুল করাই তাঁদের উদ্দেশ্য। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল থেকে রাজনাথ সিং সকলেই সমস্বরে দাবি করছেন, সরকার আলোচনায় রাজি। অথচ, বিরোধীদের দাবি মেনে বিস্তারিত আলোচনায় নারাজ সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.