সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দি বলয়ের রাজনীতিতে গত এক দশক ধরেই প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছে কংগ্রেস (Congress)। বর্তমানে দলের জনসমর্থন এতটাই তলানিতে যে আমেঠি-রায়বরেলির মতো আসনেও প্রার্থী হওয়ার আগে ভাবতে হচ্ছে গান্ধী পরিবারকে। ওই দুই আসনে গান্ধী পরিবারের সদস্যরাই প্রার্থী হন, চাইছে দলের রাজ্য নেতৃত্ব। কংগ্রেসের উপর চাপ বাড়াচ্ছে সমাজবাদী পার্টিও (Samajwadi Party)। অথচ, রাহুল গান্ধীরা এখনও নীরব।
একসময়ের নিশ্চিত আসন এখন ঝুঁকিপূর্ণ। একসময়ের ‘দুর্গ’ এখন প্রহরীহীন। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে আমেঠিতে স্মৃতি ইরানির কাছে ৫৫ হাজার ভোটে হারেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। রায়বরেলিই উত্তরপ্রদেশের একমাত্র আসন যেখানে ২০১৯-এ জিতেছিল হাত শিবির। সেখানে সোনিয়া গান্ধী জয়ী হলেও এবার বয়সের কারণে প্রার্থী হবেন না তিনি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন হল, কয়েক দশক ধরে যে আসনগুলি গান্ধী পরিবারকে অকুন্ঠ সমর্থন জানিয়ে এসেছে, সেই আসনগুলিতে প্রার্থী হবেন কারা?
সমাজবাদী পার্টি ও ইন্ডিয়া (India) জোট চাইছে প্রার্থী হোন গান্ধীরাই। তাঁরা বলছেন, গান্ধী পরিবারের কেউ আমেঠি-রায়বরেলি থেকে প্রার্থী না হলে উত্তরপ্রদেশের লড়াইয়ে কংগ্রেস তথা বিরোধীরা হাল ছেড়ে দিয়েছে বলে বিজেপি প্রচারের সুযোগ পেয়ে যাবে। অখিলেশ যাদব প্রকাশ্যে বলেছেন, “আমেঠি এবং রায়বরেলি এই দু’টি আসন গান্ধী পরিবারের পুরনো, চিরাচরিত আসন। এখনও পর্যন্ত যা জানি, গান্ধী পরিবারেরই কেউ না কেউ ওই দুই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হবেন।” তবে সূত্রের দাবি, জোটের শর্তেই অখিলেশ জানান, ওই দুই আসনের মধ্যে অন্তত একজন গান্ধী পরিবারের সদস্যকে প্রার্থী হতে হবে।
সোনিয়া গান্ধীও রায়বরেলিবাসীর উদ্দেশে লেখা খোলা চিঠিতে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পরিবারের কেউ রায়বরেলি থেকে প্রার্থী হবেন। সেক্ষেত্রে মায়ের আসনে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর (Priyanka Gandhi) প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আবার রাহুল গান্ধীও আমেঠিতে ফের প্রার্থী হতে পারেন বলে শোনা গিয়েছে। রাহুলের জন্য রায়বরেলিতে প্রার্থী হওয়ার বিকল্পও রয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রিয়াঙ্কাকে আমেঠিতে পাঠানো হতে পারে। তবে সবটাই নির্ভর করছে রাহুলের নিজের উপর। এ নিয়ে কংগ্রেসের মুখে এখনও কুলুপ। যা জল্পনা বাড়াচ্ছে। আর বাড়াচ্ছে কংগ্রেস কর্মী এবং জোটসঙ্গীদের উৎকন্ঠা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.