সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দি বলয়ের রাজনীতিতে গত এক দশক ধরেই প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছে কংগ্রেস (Congress)। বর্তমানে দলের জনসমর্থন এতটাই তলানিতে যে আমেঠি-রায়বরেলির মতো আসনেও প্রার্থী হওয়ার আগে ভাবতে হচ্ছে গান্ধী পরিবারকে। ওই দুই আসনে গান্ধী পরিবারের সদস্যরাই প্রার্থী হন, চাইছে দলের রাজ্য নেতৃত্ব। কিন্তু কংগ্রেস সূত্রের খবর, রাহুল বা প্রিয়াঙ্কা কেউই উত্তরপ্রদেশ থেকে লড়তে চান না।
একসময়ের নিশ্চিত আসন এখন ঝুঁকিপূর্ণ। একসময়ের ‘দুর্গ’ এখন প্রহরীহীন। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে আমেঠিতে স্মৃতি ইরানির কাছে ৫৫ হাজার ভোটে হারেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। জল্পনা ছিল, এবার (Lok Sabha 2024) রাহুল ফিরতে পারেন আমেঠিতে। কিন্তু ওয়ানড় কেন্দ্র থেকে ইতিমধ্যেই প্রার্থী হিসাবে রাহুলের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এখন শোনা যাছে, প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি আর আমেঠি থেকে লড়তে চাইছেন না। তাঁর বক্তব্য, দুটি আসন থেকে জিতে এসে তার পর একটি আসন ছেড়ে দেওয়াটা জনমানসে ভালো বার্তা দেয় না। তাছাড়া দুই কেন্দ্রে ভোটে দাঁড়ালে তাঁকে ওই দুই কেন্দ্রে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। সেক্ষেত্রে গোটা দেশে প্রচারে সমস্যা হতে পারে।
অন্যদিকে, রায়বরেলিই উত্তরপ্রদেশের একমাত্র আসন যেখানে ২০১৯-এ জিতেছিল হাত শিবির। সেখানে সোনিয়া গান্ধী জয়ী হলেও এবার বয়সের কারণে প্রার্থী হবেন না তিনি। দীর্ঘদিন ধরে জল্পনা, মায়ের ছেড়ে আসা আসনে প্রার্থী হতে পারেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। যদিও কংগ্রেস সূত্র বলছে, প্রিয়াঙ্কাও রায়বরেলি থেকে প্রার্থী হতে চাইছেন না। তাঁর যুক্তি, সোনিয়া গান্ধী ইতিমধ্যেই রাজ্যসভায়। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তিনিও প্রার্থী হলে বা জিতে সংসদে গেলে কংগ্রেস থেকে গান্ধী পরিবারেরই তিনজন সাংসদ হয়ে যাবেন। ফলে বিজেপির পক্ষে পরিবারতন্ত্র নিয়ে আঙুল তোলা সহজ হয়ে যাবে।
যদিও এখনও সমাজবাদী পার্টি ও ইন্ডিয়া (India) জোট চাইছে উত্তরপ্রদেশের ওই দুই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হোন গান্ধীরাই। তাঁরা বলছেন, গান্ধী পরিবারের কেউ আমেঠি-রায়বরেলি থেকে প্রার্থী না হলে উত্তরপ্রদেশের লড়াইয়ে কংগ্রেস তথা বিরোধীরা হাল ছেড়ে দিয়েছে বলে বিজেপি প্রচারের সুযোগ পেয়ে যাবে। সেই সুযোগ যেন না দেওয়া হয়। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে গান্ধী পরিবারই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.