ফাইল ছবি।
সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: আপনি কি নিজের এলাকায় হওয়া নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন? হ্যাঁ হলে ১ টিপুন…
আপনি যদি কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে থাকেন, তাহলে ১ টিপুন। আপনি যদি বিজেপিকে ভোট দিয়ে থাকেন তবে ২ টিপুন…
প্রথম দফায় কর্নাটকের (Karnataka) পর দ্বিতীয় দফার নির্বাচন শেষ হতে উত্তরপ্রদেশের একটি বড় অংশের ভোটারের কাছে এল এই ধরনের অটোমেটেড কল। কেন্দ্র বা নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফে কোনও নয়া প্রকল্প ভেবে কেউ কেউ প্রশ্নের জবাবে টিপতে থাকলেন নিজেদের মোবাইলের বাটন। বুথ ফেরত সমীক্ষা ভেবেও অনেকে দিতে থাকলেন জবাব। সতর্ক গ্রাহকরা আবার সন্দেহজনক গন্ধ পেয়েই কেটে দিয়েছেন ফোন।
পরপর দুদফার শেষেই এই ধরনের ফোন আসার পর নড়ে বসেছেন অনেকে। ঝড় উঠেছে সামাজিক মাধ্যমে। ট্রু কলার নামক অ্যাপেও অভিযোগ ও মতামত জানিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। প্রত্যেকেরই বক্তব্য, এই কল থেকে জানতে চাওয়া হচ্ছে ভোটদান সম্পর্কিত নানা তথ্য। কেউ আপত্তি করে বলছেন, সংবিধান প্রদত্ত একান্ত গোপন তথ্য কীভাবে কারও কাছে জানতে চাইতে পারেন কেউ? কারও আবার প্রশ্ন, কীভাবেই বা এই ধরনের সংস্থার কাছে পৌঁছে যাচ্ছে গ্রাহকদের মোবাইল নম্বর। কোথায় যাচ্ছে তথ্য নিরাপত্তা, উঠেছে এই প্রশ্নও।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নিলেও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি কমিশন। ব্যক্তিগতভাবে এক আধিকারিক জানান, “এই ধরনের ফোন এড়িয়ে যাওয়া ছাড়া আপাতত আর কিছু বলার নেই।” সূত্রের খবর, এই ফোন নম্বরের বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য খোঁজার কাজ করছে কমিশন। এই বিষয়টি শুধুমাত্র কোনও স্প্যাম কল, নাকি তথ্য জালিয়াতির নতুন কোনও চক্র সেই খোঁজ চলছে। এক গ্রাহক দাবি করেছেন তাঁর কাছে যখন ফোন আসে, তখন ট্রু কলারের লোকেশন ছিল সিয়ালকোট। কাজেই এই কলের পিছনে কোনও আন্তর্জাতিক চক্র রয়েছে কি না, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জড়িয়ে আছে কি না, দেখা হচ্ছে এই ধরনের বিন্ন দিকও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.