বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: দিল্লির রামলীলা ময়দানে ইন্ডিয়া জোটের গণতন্ত্র বাঁচাও সমাবেশ। রবিবার এই সমাবেশ থেকে কার্যত মোদির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে ইন্ডিয়া (INDIA) জোটের শরিকরা। বিশেষ করে নির্বাচনের মুখে যেভাবে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও তাঁর সঙ্গীরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে তার বিরুদ্ধেই সরব হবেন জোট নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সমাবেশে রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং সদ্য নির্বাচিত সাংসদ সাগরিকা ঘোষ যোগ দেবেন বলে জানা গিয়েছে। ২৮ টি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সমাবেশে যোগ দেবেন বলে, শনিবার দাবি করেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।
লোকসভা ভোটের (Lok Sabha 2024) আগে বিরোধীদের আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে ‘আয়কর সন্ত্রাস’ চালাচ্ছে বলে আগেই অভিযোগ করেছেন জয়রাম। তাঁর অভিযোগ, শুক্রবার আয়কর দপ্তরের তরফে কংগ্রেসকে ১ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা জরিমানা করে নোটিস পাঠানো হয়েছে। তার পরও সেদিন রাতেই আরও দুটো নোটিস আয়কর দপ্তর। কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি শিবকুমারকে একটি নোটিস পাঠানো হয়েছে। এমন একটি অভিযোগে নোটিস পাঠানো হয়েছে যা আগেই মিটে গিয়েছে বলে দাবি করেন কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী। ফলে রবিবার রামলীলা ময়দানে বিরোধীদের সমাবেশে আক্রমণের লক্ষ্য যে প্রধানমন্ত্রী-সহ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি হতে চলেছে তা স্পষ্ট বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) গ্রেপ্তারির পর এই প্রথম বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ রাজধানী দিল্লিতে তাঁদের কোনও কর্মসূচি করতে চলেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সমাবেশে যোগ দেবে রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন এবং সাগরিকা ঘোষ। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কেসি বেনুগোপাল এবং মল্লিকার্জূন খাড়গে। শিব সেনার উদ্ভব শিবিরের পক্ষ থেকে সমাবেশে যোগ দেওয়ার কথা উদ্ধব ঠাকরে, আদিত্য ঠাকরে এবং সঞ্জয় রাউতের। যোগ দেবেন শরদ পাওয়ার, ডিএমকের তিরুচি শিবা, আরজেডির তেজস্বী যাদব, বামেদের পক্ষে সীতারাম ইয়েচুরি এবং ডি রাজা যোগ দেবেন বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এ দিনের সমাবেশে উপস্থিত হতে চলা সবকটি রাজনৈতিক দলই লোকসভা নির্বাচনে কোনও না কোনওভাবে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতায় রাজি হয়েছে। ব্যতিক্রম শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)।
জানা গিয়েছে, জোটের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রবিবারের সমাবেশে প্রতিটি দলের পক্ষ থেকে ১০ মিনিটের বক্তব্য রাখা হবে। বিরোধী নেতৃত্বের বক্তব্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকারত্ব-সহ একাধিক ইস্যুকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। ৩১ মার্চ দিল্লির রামলীলা ময়দানে এই মেগা সমাবেশরই প্রস্তুতিতে আম আদমি পার্টির পক্ষ ‘ডোর টু ডোর’ বা দুয়ারে প্রচার কর্মসূচি নেওয়া হয়। যার অংশ হিসেবে আম আদমি পার্টির কর্মীরা দিল্লিবাসীর বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে রামলীলা ময়দানের সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। আম আদমি পার্টির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক ডঃ সন্দীপ পাঠক জানান, “প্রায় ১৪,০০০ বুথ রয়েছে দিল্লিতেই। প্রতিটি বুথ থেকে ১০ জন করে লোক নিয়ে রামলীলা ময়দানে পৌঁছলে লোকের সংখ্যা হবে ১.৫ লাখ।” দলের পক্ষ থেকে কর্মী সমর্থকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, “আমিও কেজরিওয়াল”(ম্যায় ভি কেজরিওয়াল) এই পোস্টার গাড়িতে বা হাতে নিয়ে রামলীলা ময়দানে প্রবেশ করার জন্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.