Advertisement
Advertisement
Lok Sabha 2024

২০২৪ নির্বাচন ‘ম্যাচ ফিক্সিং’, রাহুলের সুরে উদ্বেগপ্রকাশ প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনারদেরও

'ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন এজেন্সিগুলির এই তৎপরতায় ভোটের ময়দানে সব দলকে সমান সুযোগ দেওয়ার নীতি বিঘ্নিত হচ্ছে।', জানাচ্ছেন প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।

Lok Sabha 2024: Former election commissioners not happy with ED-CBI's role during MCC

প্রতীকী ছবি।

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:April 2, 2024 6:56 pm
  • Updated:April 2, 2024 6:56 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আসন্ন লোকসভা ভোটে বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অতিসক্রিয়তা চোখে পড়ার মতো। অতি সম্প্রতি কংগ্রেসকে আয়কর নোটিস পাঠিয়েছে, ইডি নোটিস ধরিয়েছে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকেও, এমনকী গ্রেপ্তার করেছে তেলেঙ্গানা ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেত্রী কে কবিতা এবং দিল্লির মুখ‌্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal)। ভোটের মুখে ইডি-সিবিআইয়ের এই অতি-তৎপরতা ইতিমধ্যেই চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইতিমধ্যেই এ নিয়ে সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি অভিযোগ করেছেন, এই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ইচ্ছামতো ব‌্যবহার করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) আসন্ন লোকসভা ভোটে ‘ম‌্যাচ ফিক্সিং’ করছেন। কিন্তু এই অতি-তৎপরতা নিয়ে নির্বাচন কমিশন (Election Commission) কী বলছে? নিজেদের মতামত জানালেন দেশের তিন প্রাক্তন মুখ‌্য নির্বাচনী কমিশনার (সিইসি)। এঁদের অন‌্যতম, এস ওয়াই কুরেশির বক্তব‌্য, ‘‘ব‌্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, যা চলছে, তাতে কমিশন হস্তক্ষেপ করতে পারে। এই সমস্ত প্রক্রিয়া ভোট পর্যন্ত স্থগিত রাখতে পারে। কারণ এতে প্রভাব পড়তে বাধ‌্য। নির্বাচন কমিশনের নীতি বলছে, যা আমরাও মেনে চলে এসেছি, যদি কিছু পরে হতে দেওয়া যায়, তাহলে তা পরেই হোক। পিছিয়ে দিলে কোনও বড় ক্ষতি হয়ে যাবে, এমনটা নয়। তিন মাস পরও হতে পারে।’’

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলের নেতাদের হয়ে দালালি!’ পুলিশকে আঙুল উঁচিয়ে হুমকি সৌমিত্রর]

অন‌্যদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার আবার মনে করেন, ‘‘ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন এজেন্সিগুলির এই তৎপরতায় ভোটের ময়দানে সব দলকে সমান সুযোগ দেওয়ার নীতি বিঘ্নিত হচ্ছে। তা যাতে না হয় তা নিশ্চিত করা কমিশনেরই কাজ।’’ তাঁদেরই একজনের দাবি, ‘‘আমরা যখন কমিশনে ছিলাম, তখন এমন পরিস্থিতি কখনও তৈরি হয়নি। ভোটের সময় কমিশনকে যে কাজটি নিষ্ঠার সঙ্গে করতে হয়, তা হল সব দলের জন্য উন্মুক্ত পরিবেশ তৈরি রাখা। কমিশনের তৎপরতায় তা বিঘ্নিত হচ্ছে।’’

[আরও পড়ুন: ‘দুষ্কৃতীদের প্রশ্রয় দেন, নির্বাচনী প্রতীক যেন না পান’, লকেটের বিরুদ্ধে কমিশনে তৃণমূল]

যদিও প্রাক্তন মুখ‌্য নির্বাচন কমিশনার ও পি রাওয়াতের (OP Rawat) মতে, যদি কমিশন বোঝে কোথাও কোনও গলদ হচ্ছে, তার সপক্ষে তাদের কাছে প্রমাণও যদি থাকে, তবেই কমিশন হস্তক্ষেপ করতে পারে। তবে যে সব ঘটনায় গ্রেপ্তারি হচ্ছে এবং নোটিস ধরানো হচ্ছে, সেগুলি ভোটের নির্ঘণ্ট জারির পর হয়নি। নতুন ঘটনা নয়। ধারাবাহিক তদন্ত প্রক্রিয়ারই অংশ।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement