সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: বিভাজনমূলক মন্তব্যের অভিযোগ। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে প্রথম পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের। মোদির মন্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে বিজেপিকে নোটিস পাঠাল কমিশন। একই সঙ্গে রাহুল গান্ধীকেও (Rahul Gandhi) নোটিস পাঠানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধেও উসকানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ রয়েছে। ২৯ এপ্রিলের মধ্যে দু’পক্ষকেই জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত রবিবার রাজস্থানের একটি সভায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “সরকারে থাকাকালীন কংগ্রেস (Congress) বলেছিল দেশের সম্পদের উপর মুসলিমদের অধিকার সকলের আগে। অর্থাৎ দেশের সম্পদ বন্টন করা হবে তাদের মধ্যে, যাদের পরিবারে বেশি সন্তান রয়েছে। অনুপ্রবেশকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে দেশের সম্পদ। কংগ্রেসের ইস্তেহারেই বলা হয়েছে, মা-বোনদের সোনার গয়নার হিসেব করে সেই সম্পদ বিতরণ করা হবে। মনমোহন সিংয়ের সরকার তো বলেই দিয়েছে, দেশের সম্পদে অধিকার মুসলিমদেরই। আপনাদের মঙ্গলসূত্রটাও বাদ দেবে না।”
রাজস্থানের বাঁশওয়ারায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) করা ওই মন্তব্যকে এক বাক্যে ঘৃণাভাষণ আখ্যা দিয়ে তার নিন্দায় সরব হয়েছেন বিরোধী সব নেতা। মোদির বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ করেছিল সিপিআইএম(এল), কংগ্রেসের মতো রাজনৈতিক দল। এমনকী, ১৭ হাজার ৪০০ আমনাগরিকও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘৃণাভাষণ দেওয়ার অভিযোগ তুলে কমিশনে চিঠি দিয়েছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এবার বিজেপিকে নোটিস পাঠানো হল। ২৯ এপ্রিলের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রাহুল গান্ধীর একাধিক ভাষণ নিয়েও আপত্তি জানিয়েছে বিজেপি (BJP)। বিজেপির অভিযোগ, রাহুল ভোটের জন্য উত্তর ভারত-দক্ষিণ ভারত বিভাজন করেছেন। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগের ভিত্তিতে নোটিস পাঠানো হয়েছে কংগ্রেসকেও। কমিশন বলছে, “প্রার্থী এবং তারকা প্রচারকদের বক্তব্যের দায় নিতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকেই। যারা ভালো ভালো পদে আছেন, তাদের ভাষণের প্রভাব আরও গুরুতর।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.