ছবি: সোশাল মিডিয়া
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিভাজনমূলক মন্তব্য করার যে অভিযোগ উঠেছে, সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, রাজস্থানে করা মোদির যে মন্তব্য নিয়ে বিরোধীদের আপত্তি, সেটা পুঙ্খানুপুঙ্খ খতিয়ে দেখা হছে।
গত রবিবার রাজস্থানের একটি সভায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “সরকারে থাকাকালীন কংগ্রেস (Congress) বলেছিল দেশের সম্পদের উপর মুসলিমদের অধিকার সকলের আগে। অর্থাৎ দেশের সম্পদ বন্টন করা হবে তাদের মধ্যে, যাদের পরিবারে বেশি সন্তান রয়েছে। অনুপ্রবেশকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে দেশের সম্পদ। কংগ্রেসের ইস্তেহারেই বলা হয়েছে, মা-বোনদের সোনার গয়নার হিসেব করে সেই সম্পদ বিতরণ করা হবে। মনমোহন সিংয়ের সরকার তো বলেই দিয়েছে, দেশের সম্পদে অধিকার মুসলিমদেরই। আপনাদের মঙ্গলসূত্রটাও বাদ দেবে না।”
রাজস্থানের বাঁশওয়ারায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) করা ওই মন্তব্যকে এক বাক্যে ঘৃণাভাষণ আখ্যা দিয়ে তার নিন্দায় সরব হয়েছেন বিরোধী সব নেতা। মোদির বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ করেছিল সিপিআইএম(এল), কংগ্রেসের মতো রাজনৈতিক দল। এমনকী, ১৭ হাজার ৪০০ আমনাগরিকও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘৃণাভাষণ দেওয়ার অভিযোগ তুলে কমিশনে চিঠি দিয়েছে। ফলে একপ্রকার চাপে পড়েই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ খতিয়ে দেখছে নির্বাচন কমিশন।
এর আগে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগেও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একইভাবে ঘৃণাভাষণের একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। এবারও একই অভিযোগ। নির্বাচন কমিশনের নজরে প্রধানমন্ত্রী দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে। যদিও এ পর্যন্ত সরকারিভাবে কমিশনের তরফে এ নিয়ে মুখ খোলা হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.