সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের চতুর্থ পর্বেও কোনও ছাড় পেলেন না ব্রজবাসীরা। জগৎজোড়া মথুরা-বৃন্দাবনের খ্যাতি কোথায় ফিকে হয়ে গেছে লকডাউনের পর্বে। দিনের আলোর শেষে কোনও সাহায্যের হাত এগিয়ে আসেনি তাঁদের দিকে। অবহেলায় পড়ে রয়েছেন ধর্মপ্রাণারা।
মথুরা, বৃন্দাবনে (Vrindavan) থাকা কৃষ্ণপ্রেমীদের আপাত অর্থে দিন কাটে ভজন-সাধন করে। প্রতিদিন হাজারে হাজারে ভক্তরা মথুরায় যান দ্বারকাদ্বীশ মন্দিরে প্রার্থনা করতে। টানা ২ মাস লকডাউনের জেরে বন্ধ মন্দিরের দরজা। বৃন্দাবনে থাকা এই অসহায় মানুষগুলোর কাছে অজানা লকডাউনের সংজ্ঞা। তাঁরা বোঝেন না জিডিপি কী, মাস্কের প্রয়োজনীয়তা কী। আর্থিক প্যাকেজ সম্পর্কেও তাঁদের কোনও স্বচ্ছ ধারণা নেই। মন্দিরে প্রার্থনারত সমাজের দৈনন্দিন জীবনচূত্য এই ভক্তরা আজ আটকে কোনও আশ্রমের কোনে। যদি কখনও কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তাদের উপর দয়াপরবশত দুবেলা অন্নের জোগান দেয়, তবেই খাওয়া জুটবে। লকডাউনের জেরে বন্ধ হয়েছে মন্দিরে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া, ভজন-সাধন। এমনকি মথুরার অলিতে-গলিতে বসে নিত্যদিন যে মানুষগুলো চেয়ে থাকেন অন্যের সাহায্যের আশায় আজ তাদের কাছে সরকারের তরফ থেকে নেই কোনও সাহায্যের হাত। অবহেলায় আশ্রমের কোনে পড়ে দেখছেন সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত। ১৭ মে লকডাউন শেষ হলে মন্দির খুলে গেলে উপার্জনের আশায় দিন গুনছিলেন এই ভক্তরা। কিন্তু তা আর হওয়ার উপায় নেই। ৩১ মে পর্যন্ত দেশ জুড়ে চলবে লকডাউন।
এই ব্রজবাসীদের মত কষ্টে দিন গুনছেন উত্তরপ্রদেশ-সহ দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরাও। রমজান মাসে বাড়ি বসেই দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। সামাজিক দূরত্ব ও লকডাউনের বিধি মেনে ধর্মকে পালন করছেন তাঁরাও। কারণ হিন্দু হোক বা মুসলিম সব ধর্মই মানুষের প্রাণ বাঁচাতে শেখায়। সর্বোপরি মানুষের জন্যই ধর্ম, ধর্মের জন্য মানুষ নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.