সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কারফিউ। শব্দটা শুনলেই মনের মধ্যে আতঙ্ক হয় আমজনতার। আর লকডাউনের চতুর্থ দফায় শিরোনামে এই শব্দটি। কেন্দ্রের নির্দেশনামায় উল্লেখ রয়েছে নাইট কারফিউর। কিন্তু আসলে কী এই নাইট কারফিউ? খুব কি মাথাব্যথার বিষয়? কারফিউ জারি থাকলে কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
রবিবারই লকডাউনের চতুর্থ দফার ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। জানানো হয়েছে, আগামী ৩১ মে পর্যন্ত চলবে লকডাউন। তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাড়ও দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গেই উল্লেখ রয়েছে, সন্ধে ৭টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত নাইট কারফিউ জারি থাকবে গোটা দেশে। সংক্রমণ রুখতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানায় কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সন্ধে ৭টা থেকে পরের দিন সকাল ৭টা অর্থাৎ এই ১২ ঘণ্টা সাধারণ মানুষের বাইরে বেরনোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। তবে অত্যাবশ্যক কোনও কাজের ক্ষেত্রে মিলবে ছাড়।” আইন মেনে যাতে প্রত্যেকটি রাজ্য ১৪৪ ধারা জারি করে, সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
গ্রিন, অরেঞ্জ, রেড, কনটেনমেন্ট- সমস্ত জোনেই কিন্তু প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা বহাল থাকবে কারফিউ। একইসঙ্গে ৬৫ বছরের বেশি এবং ১০ বছরের কম বয়সিরা, অন্তঃসত্ত্বা, কিংবা কো-মর্বিডদের চিকিৎসার মতো অত্যন্ত জরুরি কাজ ছাড়া ৩১ মে পর্যন্ত বেরনো নিষেধ বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক সরকারি ও বেসরকারি কর্মীর মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপটি থাকা বাধ্যতামূলক। রাতে যাতে অকারণে কেউ রাস্তায় না বেরোন, বা জমায়েত না হয়, সেই জন্যই এই নির্দেশ।
লকডাউনের নিয়মাবলি ঘোষণার পরই বলা হয়েছে, নিয়ম ভাঙলে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের আওতায় কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে সেই ব্যক্তিকে। এই আইনের ৫১ ও ৬০ ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিষ্কার করে দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কোনও ব্যক্তি কেন্দ্র অথবা রাজ্যের নির্দেশিকা অমান্য করলে কিংবা পুলিশ আধিকারিকের কাজে বাধা দিলে তাঁর এক বছর পর্যন্ত জেল অথবা জরিমানা হতে পারে। অভিযুক্ত আইন অমান্য করায় যদি কোও বিপদ হয় বা কারও প্রাণ যায়, তাহলে দু’বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.