সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের (Lock Down) কার্যকারিতা নিয়ে বহু অভিযোগ উঠেছে। উপর্যুপরি, এর ফলে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকে যে পরিমাণ কষ্টে পড়তে হয়েছে তা অবর্ণনীয়। কিন্তু সরকার বলছে, করোনার ছড়িয়ে পড়া রুখতে লকডাউন জারি ছাড়া উপায় ছিল না। এই লকডাউনের ফলেই লক্ষ লক্ষ মানুষ বেঁচেছেন করোনায় (COVID-19) সংক্রমিত হওয়া থেকে। এর ফলে বেঁচে গিয়েছে হাজার হাজার প্রাণ।
শুক্রবার নীতি আয়োগের (Niti Ayog) সদস্য বিনোদ পাল এক পরিসংখ্যান প্রকাশ করে দাবি করেছেন, প্রথম দুদফায় লকডাউন না হলে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৯ লক্ষ পর্যন্ত হতে পারত। মৃতের সংখ্যা হতে পারত ৭৮ হাজার পর্যন্ত। ২৫ মার্চ থেকে জারি হওয়া লকডাউনের কার্যকারিতা নিয়ে বহু সংস্থা সমীক্ষা করেছে। সেইসব সমীক্ষার তথ্য তুলে ধরে নীতি আয়োগের ওই সদস্য বলছেন,”এই তথ্য শুধু প্রথম দুই দফার লকডাউনের কার্যকারিতা নিয়ে করা পর্যবেক্ষণের ফল। যদিও বহু সংস্থা সমীক্ষা করেছে তবে ফলাফল প্রায় একইরকম। সবাই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। সেটা হল, লকডাউনের জেরে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে করোনার সংক্রমণ।” বিনোদ পাল বলছেন,”এই তথ্য বলছে, লকডাউন না হলে পরিস্থিতি অনেক খারাপ হত। যে তথ্য এসেছে এতেই প্রমাণ হয়, দেশ সঠিক পথেই এগোচ্ছে।”
নীতি আয়োগ যে তথ্য প্রকাশ করেছে সেই তথ্য অনুযায়ী প্রথম দু’দফার লকডাউন না হলে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লক্ষ থেকে ২৯ লক্ষ পর্যন্ত হতে পারত। এবং মৃতের সংখ্যা হতে পারত ৩৭ হাজার থেকে ৭৮ হাজার পর্যন্ত। গোটা দেশে এখনও সেভাবে থাবা বসাতে পারেনি করোনা ভাইরাস। দেশের ৮০ শতাংশ করোনা আক্রান্ত মাত্র ৫টি রাজ্যে সীমাবদ্ধ। ৯০ শতাংশ করোনা আক্রান্তের জন্য দায়ী ১০টি রাজ্য। মোট মৃত্যুর ৯৫ শতাংশ হয়েছে এই দশটি রাজ্যেই। এখনও পর্যন্ত করোনা মূলত শহরকেন্দ্রিক রোগ। দেশের মাত্র ১০টি শহরে ৭০ শতাংশ করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। মৃতের সংখ্যার ৭০ শতাংশও এই ১০টি শহর থেকেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.