সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউন চলছে। ৩ মে সেই লকডাউন উঠতে পারে ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র সরকার। তবে দেশের করোনা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে, আদৌ লকডাউন উঠবে কিনা। তার আগে আরও এক আশংকার কথা শোনালেন মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেট-এর এডিটর ইন চিফ রিচার্ড হর্টন। তাঁর কথায়, ভারত এখনই লকডাউন তোলা উচিত নয়। অন্তত টানা ১০ সপ্তাহ লকডাউন রাখা উচিত। নাহলে নতুন করে সংক্রমণ ছড়ালে সামাল দেওয়া মুশকিল হয়ে যাবে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, “এই মহামারি চিরস্থায়ী নয়। নিজে থেকেই এর শক্তি কমবে। আমাদের দেশ এই করোনা মোকাবিলার জন্য সঠিক কাজটাই করছে।” তাঁর আশা, ১০ সপ্তাহ সঠিক ভাবে লকডাউন মানলে এই মহামারি থেকে নিস্তার পাওয়া যেতে পারে। ১০ সপ্তাহের শেষে ভাইরাসের উপস্থিতি একেবারেই না থাকলে আবার আগের মতো সব চলবে। তবে সেই সময়ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে বলে মত প্রকাশ করেছেন তিনি। বলছেন, ” আমাদের মাস্কও পরতে হতে পারে এবং পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর দিতে হতে পারে।”
কিন্তু আগামী ৩ মে লকডাউন তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়ান করছেন দেশবাসীর একাংশ। সেই বিষয়ে রিচার্ড বলেন, “বুঝতে পারছি অর্থনীতির কথা মাথায় রেখে সব স্বাভাবিক করে দেওয়া দরকার। কিন্তু তাড়াহুড়ো করবেন না। যদি নতুন করে করোনা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে তা আরও খারাপ হবে পরিস্থিতি। তখন আবার প্রথম থেকে লকডাউন শুরু করতে হবে।” এ প্রসঙ্গে তিনি চিনের উদাহরণও টেনে আনেন। বলেন, “ইউহান কীভাবে টানা ১০ সপ্তাহ কড়া ভাবে লকডাউন চালু রেখে করোনা মুক্ত হতে পেরেছে। এখন তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে। প্রমাণিত, তাঁদের এই লকডাউনের প্রয়োজন ছিল। কারণ এই ভাইরাসই এরকম। শারীরিক দূরত্ব বজায় না রাখলে জনবসতিতে শীঘ্র এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।”
কিন্তু ১০ সপ্তাহ লকডাউন রাখলেই যে করোনা ভাইরাস চলে যাবে তার নিশ্চয়তা আছে কি? জবাবে রিচার্ড বলেন, তখন খুব সামান্য লোকের মধ্যে এই ইনফেকশন থাকবে। কিন্তু পরীক্ষা চালিয়ে যেতে হবে। ১০ সপ্তাহ লকডাউন বাড়লে অর্থনীতির কী হবে? lতার জবাব অবশ্য দেননি রিচার্ড হর্টন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.