সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মোরা একই বৃন্তে দুইটি কুসুম হিন্দু মুসলমান।’ এই একটা লাইনেই এদেশের সংস্কৃতি আর সম্প্রীতিকে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন কবি নজরুল ইসলাম। বহু যুগ আগে লেখা তাঁর এই কবিতা যে আজও কতটা প্রাসঙ্গিক, ফের মিলল সেই উদাহরণ। একই ছাদের তলায় মহাসমারোহে পালিত হল গণেশ চতুর্থী এবং মহরম।
দেশজুড়ে মাঝেমধ্যেই শিরোনামে উঠে আসে সাম্প্রদায়িক হিংসা এবং দাঙ্গার কথা। ধর্মের নামে মারামারি-খুনোখুনি লেগেই রয়েছে। এই একটা কারণই একে অপরের মধ্যে দূরত্ব বাড়িয়ে তোলে অনেক সময়। তেমন ঘটনার কথাও আখছাড় শুনতে পাওয়া যায়। কিন্তু কয়েনের উলটো পিঠের মতোই এদেশের বহু জায়গায় আজও অক্ষত ভারতীয় সংস্কৃতি। যেখানে হিন্দু-মুসলিম ভাই-ভাই। তেমনই কর্ণাটকের হুবলি জেলার এই ছবি নিঃসন্দেহে গোটা দেশের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে রইল। ওই জেলার এক গ্রামের বাসিন্দারা গণেশ পুজো এবং মহরমের জন্য একটিই মণ্ডপ তৈরি করেছিলেন। হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রিত হয়ে হাতে হাত মিলিয়ে উৎসবে শামিল হয়েছিলেন। একই ছাদের নিচে নিজেদের মতো করে প্রার্থনা করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ শ্যাম বলেন, ” বর্তমানে যে সমস্ত ঘটনা ঘটে চলেছে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমরা সকলকে সম্প্রীতির বার্তা দিতে চেয়েছি।” আরেক স্থানীয়ের কথায়, “এই গ্রামে অন্তত ৪০০০ জনের বাস। এবং আমরা প্রত্যেকেই অত্যন্ত শান্তিতে ও সম্প্রীতির সঙ্গে জীবন যাপন করি। সমস্ত কাজও একসঙ্গেই করে থাকি।”
তবে শুধু গণেশ চতুর্থী এবং মহরমই নয়, স্থানীয়রা জানিয়েছেন হিন্দু ও মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা সমস্ত উৎসব এভাবেই একইসঙ্গে পালন করেন। তা সে দিওয়ালিই হোক কিংবা দোল উৎসব। ইদ-ই হোক কিংবা দশেরা। গ্রামের এক বাসিন্দা রেশমা বলছিলেন, “আমরা এখানে সবাই ভাই-বোনের মতো। তাই সব উৎসবেই সকলে একসঙ্গে মেতে উঠি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.