সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যদি অযোধ্যায় রামচন্দ্রের জন্ম নিয়ে হিন্দুদের মধ্যে যে বিশ্বাস রয়েছে, সেই নিয়ে বিতর্ক না হয়, তাহলে মুসলিমদের তিল তালাক প্রথা নিয়েও কোনও প্রশ্ন ওঠা উচিত নয়। মঙ্গলবার তিন তালাক প্রথার পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে এ কথাই জানালেন কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কপিল সিব্বল। গত কয়েকদিন ধরেই সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে চলছে ‘তিন তালাক’ সংক্রান্ত মামলাটির শুনানি। অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’বোর্ডের পক্ষ থেকে মামলাটি লড়ছেন কপিল সিব্বল।
কয়েক শতক ধরেই তিন তালাক প্রথা চলে আসছে। হঠাৎ করে সেটি কীভাবে অসাংবিধানিক হয়ে গেল, প্রশ্ন তোলেন কপিল। বলেন, ‘গত ১৪০০ বছর ধরে তিন তালাক প্রথা চলে আসছে। এটা একটি বিশ্বাস। কীভাবে সেটি অসাংবিধানিক হয়ে গেল? কিংবা সেটি ইসলামের অন্তর্ভুক্ত নয়, এমনটাই বা ভাবা হচ্ছে কেন? কারোর কোনও বিশ্বাসের ক্ষেত্রে সাংবিধানিক নৈতিকতা এবং ন্যায়ের নাম করে প্রশ্ন তোলা উচিত নয়।’ এরপরেই রামমন্দির ইস্যুটি টেনে এনে বলেন, ‘যদি অযোধ্যায় রামের জন্ম নিয়ে হিন্দুদের বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তোলা না হয়, তাহলে তিন তালাক প্রথাকে নিয়ে মুসলিমদের বিশ্বাসের উপর কেন প্রশ্ন তোলা হবে?’ তাঁর মতে, রামচন্দ্রের ব্যাপারে হিন্দুদের বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তোলা না হলে তিন তালাক নিয়ে মুসলিমদের বিশ্বাসের উপর প্রশ্ন তোলা উচিত নয়।
কপিল সিব্বল আরও জানান, মহম্মদের সময়ের পর থেকেই তিন তালাক প্রথা চালু হয়েছে এবং এই প্রথার উল্লেখ ‘হাদিশ’-এও রয়েছে। যদিও সুপ্রিম কোর্ট এরপরেই পাল্টা প্রশ্ন তোলে, ই-তালাক বা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়ে তিন তালাক দেওয়ার প্রথা কী ওখানেই লেখা রয়েছে? এর পাশাপাশি এই বিষয়ে কপিল সিব্বলের কী মত, সেটাও জানতে চায় শীর্ষ আদালত। এর আগে সোমবার এই মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টকে জানান হয়, যদি তিন তালাক প্রথাকে শীর্ষ আদালত অবৈধ এবং অসাংবিধানিক আখ্যা দেয়, তাহলে কেন্দ্র মুসলিমদের বিয়ে ও তিন তালাক প্রথা নিয়ন্ত্রণে কড়া আইন আনবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.