সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘খাকি প্যান্টের মতোই, নাথুরাম গডসেও আরএসএসের পরিচয়বাহক’৷ ফের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন সমাজবাদী পার্টির শীর্ষ নেতা আজম খান৷ তাঁর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই উত্তরপ্রদেশের তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা৷ এখানেই শেষ নয়, বিজেপি নেত্রী সাধ্বী প্রজ্ঞা গডসেকে ‘দেশভক্ত’ বলায়, তাঁকে বহিষ্কারেরও দাবি জানালেন আজম খান৷
[ আরও পড়ুন: ভুয়ো ছবিতে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষের জের, বিজেপির নিশানায় রাহুল গান্ধী]
বৃহস্পতিবার একটি জনসভায় এই বিতর্কিত মন্তব্যটি করেন রামপুর লোকসভা কেন্দ্রের সমাজবাদী পার্টি প্রার্থী৷ আরএসএস ও বিজেপির সমালোচনা করে তিনি জানান, প্রজ্ঞা ঠাকুরের বক্তব্যে নিন্দা করাটাই যথেষ্ট নয়৷ কারণ, খাকি প্যান্টের মতোই, গডসে হল বিজেপির পরিচয়বাহক৷ নির্বাচনের আগে বিজেপির ভোটব্যাংকে ধাক্কা দিতে কৌশলে আজম খান বলেন, ‘‘এবার মানুষই ঠিক করুন ওনারা কার নামে দেশের পরিচয় দিতে চান, গান্ধী নাকি গডসে? মনুষ্যত্ব নাকি খাকি প্যান্ট?’’ এমনকী, গডসেকে ‘দেশভক্ত’ বলায় সাধ্বী প্রজ্ঞাকে দল থেকে বাদ দেওয়ারও দাবি জানান তিনি৷
[ আরও পড়ুন: শেষ দফার আগেই ফাঁস এক্সিট পোলের ফলাফল, ভাইরাল সর্বভারতীয় চ্যানেলের ভিডিও ]
ঘটনার সূত্রপাত, দক্ষিণী অভিনেতা তথা এমএনএম প্রধান কমল হাসানের একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে৷ তামিলনাড়ুর একটি জনসভায় গডসেকে ‘স্বাধীন ভারতের প্রথম সন্ত্রাসবাদী ’ বলে দাবি করেন তিনি৷ কমল হাসানের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই গডসেকে ‘দেশভক্ত’ বলে পালটা দাবি করেন স্বাধ্বী৷ তাঁর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে ওঠে রাজনৈতিক তরজা৷ সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে আক্রমণ করেন ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী দিগ্বিজয় সিং। বিজেপিকে আক্রমণ করেন অন্যান্য কংগ্রেস নেতারাও। চাপে পড়ে অবশেষে বিজেপির উত্তরপ্রদেশের মিডিয়া ইনচার্জ লোকেন্দ্র পরাসর জানান, নাথুরাম গডসে সম্পর্কে সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর যা বলেছেন, সেটি তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। বিজেপি তাঁর মন্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করে না৷ এরপরই ক্ষমা চান প্রজ্ঞা৷ জানান, পার্টির সিদ্ধান্তই, তাঁর সিদ্ধান্ত৷উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই দলের যে সমস্ত নেতা গডসেকে নিয়ে মন্তব্য করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিজেপি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.