সুব্রত বিশ্বাস: কোভিড-১৯’ই (Covid-19) বদলে দিল রেলের চিন্তাভাবনা। ‘ফার্স্ট এইড বক্স’ নয় এবার ট্রেনে থাকবে ‘লাইফ সেভিং ড্রাগ বক্স’। ট্রেনের যাত্রাকালীন অবস্থায় বহু যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি অনুধাবন করতে পারলেও চিকিৎসা ব্যবস্থা ও উপযুক্ত ওষুধের অভাবে প্রায় বিনা চিকিৎসায় ট্রেনের মধ্যেই অনেকেই মারা যান। সম্প্রতি শ্রমিক স্পেশ্যালে এমন অনেক ঘটনায় নড়ে বসল রেল। শনিবার পাটনা-নিউ দিল্লি রাজধানীতে এই ‘লাইফ সেভিং ড্রাগ বক্স’ (Life Saving Drug Box) প্রথম দেওয়া হল।
ড্রাগ বক্সে প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষার যন্ত্রপাতি থাকবে। যেমন স্টেথোস্কোপ, ব্লাড প্রেসার ও সুগার মাপার যন্ত্র, পালস মিটার, থার্মোমিটার ইত্যাদি। থাকবে একেবারে প্রাথমিক চিকিৎসার ওষুধ। এছাড়াও অত্যাবশ্যকীয় নানা ধরনের ওষুধও থাকবে ড্রাগ বক্সে। যাত্রীদের মধ্যে যাঁরা ক্রনিক রোগে আক্রান্ত, তাঁরা প্রেসক্রিপশন সঙ্গে রাখলে সেই অনুযায়ী ওষুধ দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে হৃদপিণ্ড, হাঁপানি, বমি, মাথা ব্যথা, জ্বর ইত্যাদির জন্য ওষুধ পাওয়া যাবে সংশ্লিষ্ট বক্সে।
শনিবার পাটনা-নিউ দিল্লি রাজধানীতে প্রথম এই বক্স যাওয়া শুরু করল। ডিআরএম সুনীল কুমার বলেন, “ট্রেনে যাত্রাকালীন অবস্থায় প্রায় প্রতি বছর ৬০০ মানুষ চিকিৎসার সাহায্য চান। এই সমস্যা এড়াতে প্রথম পাটনা স্টেশনকে বেছে নেওয়া হায়েছে। দানাপুর ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশন থেকে ছাড়া ট্রেনগুলিতে এই সুবিধা মিলবে। এই বাক্স প্যান্ট্রি কারে ক্যাটারিং ম্যানেজারের তত্ত্বাবধানে থাকবে।
শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে অসুস্থ হয়ে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে অনেকের। কেউ পেটের যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে মারা গিয়েছেন। আবার কেউ তীব্র গরমে।বারবার রেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সেই ‘বদনাম’ ঘোচাতেই এবার ট্রেনে ‘লাইফ সেভিং ড্রাগ বক্স’ রাখার ভাবনা বলেই মনে করছেন অনেকেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.