সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েদি হিসেবে জেলের জীবন শুরু কংগ্রেস নেতা নভজ্যোৎ সিং সিধুর। অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলায় এক বছরের জন্য সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে তাঁর। আর সাজা শুরুর প্রথম দিনই জেলের খাবার খেতে অস্বীকার করলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, ১০ বারাকে তাঁকে রাখা হবে। যেখানে খুনে দোষী সাব্যস্ত আটজনের সঙ্গে থাকতে হবে সিধুকে (Navjot Sidhu)। সেই সঙ্গে ঘুমোতে হবে সিমেন্টের তৈরি বিছানায়। জেলে প্রবেশ করতেই কংগ্রেস নেতাকে চারটি কুর্তা আর পাজামা দেওয়া হয়েছে। দেওয়া হয়েছে দু’টি পাগড়ি, একটি কম্বল, তিনটি অন্তর্বাস, দুটি তোয়ালে, একটি মশারি, খাতা-পেন, একজোড়া জুতো, দু’টো বিছানার চাদর এবং দু’টি বালিশের কভার। এছাড়াও তাঁর সেলে রয়েছে জামাকাপড় রাখার ছোট আলমারি এবং একটি চেয়ার-টেবিল।
জেলের নিয়ম মেনে প্রথমদিন তাঁকে ঘুম থেকে উঠতে হয়েছে ভোর সাড়ে ৫টায়। সকাল ৭টায় অন্য কয়েদিদের সঙ্গে সিধুকেও চা ও বিস্কুট খেতে দেওয়া হয়। সাড়ে ৮টায় ছটি রুটি, ভাল ও সবজি দেওয়া হয়। তবে জানা গিয়েছে, সেই খাবার মুখে তোলেননি সিধু। পরিবর্তে শুধু স্যালাড আর ফল খেয়েছেন। তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, লিভারের সমস্যার জন্য তাঁকে গমের তৈরি খাবার খেতে নিষেধ করেছেন চিকিৎসকরা। সেই কারণেই জেলের খাবার খেতে চাননি সিধু। গারদের ওপারে যাওয়ার আগে নিজের ডায়েটের কথাও জানিয়েছিলেন সিধু।
সন্ধে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত জেলের ভিতর কাজ করে ৬টায় খেয়ে ৭টায় নিজেদের সেলে ঢুকে পড়াই নিয়ম। জানা গিয়েছে, আপাতত তিনমাস কাজের জন্য কোনও পারিশ্রমিক পাবেন না পাঞ্জাবের (Punjab) প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। বিনা পারিশ্রমিকেই রোজ আট ঘণ্টা করে কাজ করতে হবে তাঁকে। তারপর ধীরে ধীরে অর্থ দেওয়া হবে তাঁকে। সশ্রম কারাদণ্ডে ৩০ থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত দিনপিছু আয় করে থাকেন কয়েদিরা।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর গুরনাম সিং নামে এক ব্যক্তির মাথায় আঘাত করেছিলেন সিধু। এরপরই মারা যান গুরনাম। তাতেই সিধুর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়। অবশেষে সেই মামলায় সাজা পেয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ও পাঞ্জাবের প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। তাঁকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় শোনানো হয়। শুক্রবার পাটিয়ালা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। আপাতত তিনি পাটিয়ালা জেলের ২৪১৩৮৩ নম্বর কয়েদি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.