সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফৌজদারি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত রাজনৈতিক নেতার উপর ভোটে লড়ায় আজীবন নিষেধাজ্ঞা কঠোরতা! সংসদীয় রাজনীতিতে ছয় বছরের নিষেধাজ্ঞাই যথেষ্ট। একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে একথা জানাল মোদি সরকার। পাশাপাশি কেন্দ্রের যুক্তি, আদালত নয়, রাজনৈতিক নেতার নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সংসদ।
ফৌজদারি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত নেতার ক্ষেত্রে সংসদীয় রাজনীতিতে আজীবন ভোটে লড়ায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেছিলেন আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। এছাড়াও সাংসদ, বিধায়কদের ক্ষেত্রে যাতে করে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি হয়, সেই বিষয়েও দাবি জানান তিনি। যদিও মোদি সরকারের যুক্তি, রাজনৈতিক নেতার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর ক্ষেত্রে সংসদই সিদ্ধান্ত নেবে। হলফনামায় কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, “আজীবন ভোটে না লড়ার নিষেধাজ্ঞা যথাযথ হবে কি না, এই প্রশ্নটি শুধুমাত্র সংসদের এক্তিয়ার ভুক্ত।”
যদিও ১৯৫১ সালের পিপল অ্যাক্টের ৮ ও ৯ ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন অশ্বিনী উপাধ্যায়। ৮ (এ) ধারায় বলা আছে, কোনও রাজনৈতিক নেতার ফৌজদারি মামলার জেলের সাজা হলে ছয় বছর সংসদীয় রাজনীতিতে অংশ নিতে পারবেন না। অন্যদিকে ৯ ধারায় দুর্নীতি এবং রাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ থাকলে পাঁচ বছরের জন্য ভোটে লড়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি হবে তাঁর বিরুদ্ধে। অশ্বিনী উপধ্যায় দাবি করেন, দুই ক্ষেত্রেই আজীবন নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়া উচিত। যদিও সেই যুক্তি উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.