মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেই কাশ্মীরের মাটিকে অশান্ত করার চেষ্টার কোনও বিরাম নেই। একদিকে প্রায় প্রতিদিনই সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলি ছুঁড়ছে পাকিস্তান। অন্যদিকে কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় নাশকতার সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে তাদের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। উভয়পক্ষের শতচেষ্টা সত্ত্বেও অবশ্য জুটছে না সাফল্য। কয়েকদিন আগে পাকিস্তানে আয়োজিত খতম হওয়া জঙ্গি রিয়াজ নাইকোর স্মরণসভায় সেকথা স্বীকার করতেই দেখা গিয়েছে হিজবুল মুজাহিদিন প্রধান সৈয়দ সালাউদ্দিনকে। গত জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত তাদের ৮০ জন প্রশিক্ষিত জঙ্গি ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে খতম হয়েছে বলে প্রকাশ্য বলতে শোনা গিয়েছে। শনিবারও বড়সড় সাফল্য পেলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। লস্কর-ই-তইবার একটি গোপন ঘাঁটি খুঁজে বের করার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করলেন কুখ্যাত লস্কর জঙ্গি জাহুর ওয়ানি ও তার চার সঙ্গীকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার ভোরে কাশ্মীরের বুদগাম জেলার আরিজাল খানসাহিব এলাকায় তল্লাশি শুরু করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, ভারতীয় সেনার ৫৩ নম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের সন্ত্রাসদমন ইউনিট ও সিআরপিএফের ১৫৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সদস্যদের যৌথ চেষ্টায় মেলে সাফল্য। খানসাহিব এলাকায় জঙ্গলের মধ্যে লস্কর জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার একটি গোপন ঘাঁটি থেকে পাঁচজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখনই জানা যায় ধৃতদের মধ্যে রয়েছে কুখ্যাত লস্কর জঙ্গি জাহুর ওয়ানি ও তার চার সঙ্গী। ঘটনাস্থল থেকে জেহাদি কাগজপত্র, প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃত জাহুর নাশকতার পরিকল্পনা তৈরি করার পাশাপাশি কাশ্মীরের যুব সম্প্রদায়কে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম করার জন্য উসকানি দিত।
প্রশাসন সূত্রে খবর, জাহুর ওয়ানির সঙ্গে ধৃত বাকি চারজন হল ইউনুস মীর, আসলাম শেখ, পারওয়েজ শেখ, রেহমান লোন। এরা প্রত্যেকেই খানসাহিব এলাকার বাসিন্দা। কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে থাকা লস্কর জঙ্গিদের সমস্ত রকম সাহায্য করত এরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.