সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাধারণ মানুষকে এখনও পুরনো নোট জমা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত। এমনটাই মনে করছে সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রের কাছে এ বিষয়ে আরজিও জানাল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
নোট বাতিলের ছ’মাসেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। গত বছর ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তারপর ব্যাঙ্কে সেই পুরনো নোট জমা দেওয়া এবং লেনদেনের সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেকেই বিভিন্ন কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্থ জমা দিতে পারেননি। ফলে বাড়ি বা ব্যাঙ্কের লকারে পড়ে থাকা পুরনো নোট নিয়ে চূড়ান্ত বিপাকে পড়তে হয় তাঁদের। আর তাঁদের কথা ভেবেই দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানায়, সৎ ব্যক্তি, যাঁরা বিশেষ কোনও কারণে পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে জমা করতে পারেননি, তাঁদের থেকে নোট বদলের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া উচিত হবে না। কোনও জেলবন্দি ছাড়া পাওয়ার পর কেন নোট বদলাতে পারবেন না? আগামী ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে এ বিষয়ে সরকারের মতামত চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি জেএস খেহর বলেন, “যদি প্রশাসন নোট বদলের সুযোগ সৎ ব্যক্তিদের না দেয়, তাহলে কিন্তু এটি ভাববার বিষয়।”
#Demonetisation : SC asks Centre to give genuine cases ‘another chance’ to deposit old notes
Read @ANI_news story: https://t.co/ROpxbCze0X pic.twitter.com/XBdYAtuHlL
— ANI Digital (@ani_digital) July 4, 2017
নোট বাতিল ঘোষণার দিন প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে ছিলেন, ২০১৬-র ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যাঙ্ক অথবা পোস্ট অফিস থেকে পুরনো অর্থ বদলে নিতে হবে। আর রিজার্ভ ব্যাঙ্কে অর্থ জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত। সেই তারিখের পরও অবশ্য অনেকের কাছেই পুরনো নোট রয়ে গিয়েছিল। যার জন্য সাধারণ মানুষ সরাসরি কেন্দ্রের কাছেও নোট জমা দেওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন। যদিও সেই আবেদন ফলপ্রসূ হয়নি। আরবিআই জানিয়ে দিয়েছিল, কেন্দ্রের নির্দেশেই নির্ধারিত তারিখের পর কোনও ব্যক্তির থেকে নোট জমা নেওয়া হবে না। এবার দেখার, সুপ্রিম নির্দেশের পর কী পদক্ষেপ নেয় প্রশাসন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.