সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুতেই থামছে না ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ। প্রথাগত লড়াইয়ের সংজ্ঞা পালটে এবং বিশ্লেষকদের সমস্ত ধারণা ভুল প্রমাণিত করে প্রবল প্রতাপশালী রুশ ফৌজকে রুখে দিয়েছে কিয়েভের ‘লিলিপুট’ বাহিনী। সমরনীতির সূত্র মেনে, এই রণে তীক্ষ্ণ নজর রেখেছে ভারত। এবার নাকি সেখান থেকেই শিক্ষা নিয়ে ‘স্বয়ংচালিত’ কামান কিনতে চলেছে নয়াদিল্লি।
সূত্রের খবর, সেনাবাহিনীর জন্য ৪০০টি ‘স্বয়ংচালিত’ কামান কিনতে চলেছে নয়াদিল্লি। কারণ, ইউক্রেনের লড়াইয়ে এই হাতিয়ারগুলোর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রুশ ফৌজের উপর অগ্নিবৃষ্টি করে অনেক সময়ই তাদের পিছু হঠতে বাধ্য করেছে কিয়েভের গোলন্দাজ বাহিনী। যুদ্ধক্ষেত্রে দ্রুত হামলা ও স্থান পরিবর্তন করতে এই হাতিয়ারের জুড়ি মেলা ভার। এই কামানগুলি নিজেই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে সক্ষম। আলাদা গাড়ির প্রয়োজন পড়ে না। এর ফলে প্রতিপক্ষের কাছে হামলাকারী গোলন্দাজ বাহিনীর লোকেশন বা ঘাঁটি খুঁজে বের করা কঠিন হয়ে পড়ে।
বর্তমান ভারতের হাতে রয়েছে প্রায় ১০০টি ‘সেলফ প্রপেলড’ বা ‘স্বয়ংচালিত’ কামান। মূলত চিন সীমান্তেই মোতায়েন রয়েছে ওই কে-৯ বজ্র হাউৎজারগুলি। তবে ৩ হাজার ৪৮৮ কিলোমিটার বিস্তৃত সীমাম্তের সুরক্ষার পক্ষে তা অপ্রতুল। গালওয়ান সংঘর্ষের পর অবস্থা যে কতটা সঙ্গীন তা আরও স্পষ্ট। তাই লাদাখ ও অরুণাচল প্রদেশে লালফৌজের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে গোলন্দাজ বাহিনীকে আরও ঘাতক করে তুলতে চাইছে ভারতীয় ফৌজ।
উল্লেখ্য, অরুণাচলের তাওয়াং সীমান্তে কামান মোতায়েন করেছে ভারতীয় সেনা। সীমান্তে রয়েছে আমেরিকায় তৈরি অত্যাধুনিক এম-৭৭৭ আলট্রালাইট হাউৎজার (M-777 Ultra-Light Howitzers)। যা চোখের নিমেষে শত্রু ট্যাংককে নিশানা করতে প্রস্তুত। আবার ওজনে হালকা হওয়ায় প্রয়োজনে যে কোনও এলাকায় বহন করতে সুবিধা পাওয়া যায়। সঙ্গে রয়েছেন বোফর্স (Bofors) কামানও। এর আগে একাধিক যুদ্ধে তাদের কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে এই কামান। তবে এদের বহন করতে বড় ট্রাক বা অন্য গাড়ির প্রয়োজন হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.